সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জুন, ২০১৭ ০১:১৬

‘উইমেন প্রেসিডেন্টস অ্যান্ড প্রাইম মিনিস্টার্স’ বইয়ের প্রচ্ছদে শেখ হাসিনা

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারকর্মী ও শিক্ষাবিদ রিচার্ড ও’ব্রিয়েনের লেখা ‘উইমেন প্রেসিডেন্টস অ্যান্ড প্রাইম মিনিস্টার্স’ বইয়ের প্রচ্ছদে থাকা কয়েকজন নেতার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইটি বিশ্বের বর্তমান ১৮ জন নারী নেতৃত্বকে নিয়ে লেখা।

মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে উইমেন্স ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক ক্লাবের আয়োজনে এই বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কূটনীতিক ও নারী ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন বলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

লেখক গ্রন্থটিতে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একনিষ্ঠতা ও কঠোর পরিশ্রম, তার জীবননাশের চেষ্টা এবং বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন লিপিবদ্ধে ৩ পৃষ্ঠা উৎসর্গ করেন।

ও’ব্রেইন বাংলাদেশকে অধিকতর স্থিতিশীল ও অধিকতর গণতান্ত্রিক এবং অপেক্ষাকৃত কম হিংসাত্মক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় নেতৃত্বের কথা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সময় তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

সেসময় বিদেশে থাকায় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বেঁচে যাওয়ার কথা এবং ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার নিরলস কাজ করার কথাও তুলে ধরেছেন লেখক। এই সংগ্রামে তাকে বেশ কয়েক দফা হামলার শিকার হওয়ার এবং কারাবরণ করার কথাও উঠে এসেছে।

বইতে বলা হয়, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বহুমুখী ষড়যন্ত্রের মধ্যে শেখ হাসিনাকে মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করতে হয়। কিন্তু জনতার সমর্থন অব্যাহত থাকার পাশাপাশি জনগণের প্রতি তার দায়বদ্ধতা সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেয়।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা অনেক দূর এগিয়েছেন বলে লেখক প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশকে অধিকতর স্থিতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সুসংহত করা ও সহিংসতা রোধে তিনি নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।

১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকা এবং মাদার তেরিজা অ্যাওয়ার্ড ও গান্ধী অ্যাওয়ার্ড পাওয়াকে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তুলে ধরা হয়ে এই বইতে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত