১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০৯:১৮
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি'কে দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রত্যাহার করে নিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার আনুষ্ঠানিকভবে এ ঘোষণা দেয় মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনটি। এতে বলা হয়, সু চি তার এক সময়কার নৈতিক অবস্থান থেকে 'লজ্জাজনকভাবে' সরে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে সেখান থেকে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে আরও সাত লাখ রোহিঙ্গা। এ ঘটনায় ইতোপূর্বে আরও একাধিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সু চি'কে দেওয়া খেতাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, কানাডার পার্লামেন্টের দেওয়া সম্মানসূচক নাগরিকত্ব, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরের দেওয়া সম্মাননা, গ্লাসগো নগর কাউন্সিলের দেওয়া ফ্রিডম অফ সিটি খেতাবসহ আরও অনেক সম্মাননা। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো লন্ডনভিত্তিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে জাতিসংঘও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো বর্মি সেনাবাহিনীর অভিযানকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছে। এই অপরাধের দায়ে দেশটির শীর্ষস্থানীয় জেনারেলদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানিয়েছে।
২০০৯ সালে অং সান সু চি'কে 'অ্যাম্বাসাডর অব কনশেন্স' বা 'বিবেকের দূত' খেতাব দিয়েছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গৃহবন্দি থাকার সময় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অং সান সু চি'র শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। সেই সম্মাননাই এখন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। সংস্থাটির মহাসচিব কুমি নাইডু এক চিঠির মাধ্যমে অং সান সু চি'কে এই খবর জানিয়ে দিয়েছেন।
কুমি নাইডু লিখেছেন, ‘আট বছর আগে গৃহবন্দি থাকা নেত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর তার রাজনৈতিক নীতি-আদর্শ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কথা ভুলে সামরিক বাহিনীর চালানো জাতিগত নিধনযজ্ঞ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে ছিলেন উদাসীন।’
আপনার মন্তব্য