ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২২ আগস্ট, ২০১৫ ০১:৩০

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন রানিল বিক্রমাসিংহে

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন রানিল বিক্রমাসিংহে। দেশটির বড় দুই রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) ও শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি) ঐক্যের চুক্তিতে যাওয়ার পরপরই তিনি এ শপথ নিলেন।

১৯৭৭ সাল থেকে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে আছেন রানিল বিক্রমাসিংহে। এ পর্যন্ত তিনি তিনবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো এ পদের দায়িত্ব পেলেন তিনি।

দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার উপস্থিতিতে শুক্রবার বিক্রমাসিংহে শপথ নেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

এর আগে গত সোমবার শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সাবেক রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপাকসের দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (ইউপিএফএ) পর্যাপ্তসংখ্যক আসনে জিততে ব্যর্থ হয়।

শ্রীলঙ্কায় ২২টি ‘বহু-সদস্য নির্বাচনী জেলা’ রয়েছে। এই ২২ জেলায় মোট ২২৫টি সংসদীয় আসন রয়েছে। সংসদ গঠন করতে কোনো দলের অন্তত ১১৩টি আসনে জিততে হয়।

মঙ্গলবার ঘোষিত হয় এ নির্বাচনের ফলাফল। এতে দেখা যায়, বিক্রমাসিংহের দল ইউএনপি ১০৬ আসনে জয় পেয়েছে। সরকার গঠন করতে তাদের প্রয়োজন ছিল আর ৭টি আসনের।

এদিকে, সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ইউএনপি’র সঙ্গে চুক্তিতে যায় এসএলএফপি। দলটি এবারের নির্বাচনে ৯৫ আসনে জয় পেয়েছে। ফলে একদিকে যেমন রাজাপাকসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে যায়, অন্যদিকে বিক্রমাসিংহের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাধা কেটে যায়।

দশকের পর দশক ধরে তিক্ত বিরোধের মধ্যে ছিল ইউএনপি ও এসএলএফপি। নির্বাচনে জেতার পর বুধবার একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বিক্রমাসিংহে। এরপরই সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে শুক্রবার ইউএনপি’র সঙ্গে চুক্তি করে এসএলএফপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও এসএলএফপি নেতা সিরিসেনা।

জানা গেছে, চুক্তিতে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদ বন্টনের ব্যাপারে একমত হয়েছে দুই রাজনৈতিক দল। এরই ধারায় এসএলএফপি থেকে সিরিসেনা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন ও ইউএনপি থেকে বিক্রমাসিংহে হবে প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া এই জোট সরকারের মন্ত্রিসভায়ও পদ বন্টন হওয়ার কথা রয়েছে দুই দলের মধ্যে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত