নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ নভেম্বর, ২০১৫ ১৮:৩৮

বিভ্রান্তি তত্ত্বে বিএনপি-জামায়াত, পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধী পরিবার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চোধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদ একাত্তরের কৃত অপরাধের স্বীকারোক্তি করে মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের পর এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এ দুই যুদ্ধাপরাধীদের দল ও তাদের পরিবার।

অথচ মুজাহিদের স্ত্রী শনিবারের এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে উল্লেখ করে ফাঁসি স্থগিত করে বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আর অপর যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ‘জাতীয় সংসদে দীর্ঘদিনের সহকর্মী হিসেবে বিষয়টি রাষ্ট্রপতি সুবিবেচনা করবেন,’ বলে আশা প্রকাশ করেছেন ।

সংবাদ সম্মেলনে তারা এক ভাষায় কথা বলে আবার দেশি-বিদেশী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলছেন তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান নি।

এদিকে, দিনের এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না।

আর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে তাদের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেছেন আলী আহসান মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান নি।

বিবৃতিতে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। প্রচারিত এ খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।

উল্লেখ্য, সব ধরনের আইনি লড়াই শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া আর কোন পথ বাকি ছিল না শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের সামনে। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এ প্রাণভিক্ষার প্রার্থনা প্রত্যাখ্যাত হলে নির্বাহি আদেশে তাদের ফাঁসি কার্যকর হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত