কুলাউড়া প্রতিনিধি

০৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ২২:৫৭

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্যে একুশে পদক পাচ্ছেন কুলাউড়ার আব্দুল জব্বার

মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সাবেক সাংসদ মরহুম আব্দুল জব্বার একুশে পদকের (মরণোত্তর) জন্য মনোনীত হয়েছেন। এবারের একুশে পদক ২০ জন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়েছে। ওই ২০ জন বরেণ্য ব্যক্তির মধ্যে মরহুম আব্দুল জব্বারও একজন।

৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে আব্দুল জব্বারকে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।

মরহুম আব্দুল জব্বারের পুত্র, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম বলেন, মরহুম আব্দুল জব্বার ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয়-দফা, ’৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন ও ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রণাঙ্গনের যোদ্ধা এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়া তিনি কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সভাপতির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কুলাউড়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (১৯৬৪) ছিলেন। আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে, আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন উপেক্ষা করে বাংলার গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর প্রতিবাদ করার কারণে তিনি দুইবার কারারুদ্ধ ছিলেন। প্রথমবার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে কোরবানি ঈদের রাতে গ্রেপ্তার হন। জেলের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রধান খুনি মেজর নুর অমানুষিক নির্যাতন করে এবং হত্যার জন্য উদ্যত হয়। সেই সময় তৎকালীন সেনা অফিসার, পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত প্রয়াত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরী তাঁকে উদ্ধার করেন।

জাতির এ সূর্যসন্তান শোকের মাস আগস্টে ১৯৯২ সালের ২৮ আগস্ট মাত্র ৪৭ (১৯৪৫-১৯৯২) বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য, সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২০জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২০ সালের একুশে পদক প্রদান করছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে একুশে পদক তুলে দেবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত