সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুন, ২০২০ ২০:৩৮

বাসা থেকে কাজ করতে পারবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা পালাক্রমে বাসা থেকে অফিস করার সুযোগ পাবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একটি বিভাগ বা শাখায় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জনবল স্বশরীরে উপস্থিত থাকা যাবে। অপরদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে রোস্টারিংয়ের ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশনা আগেই দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক ব্যাংক রোস্টারিং পদ্ধতি চালু করেছে বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টানা দুই মাসের বেশি সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে সব অফিস খুলে দেয় সরকার। তবে স্বাস্থ্য বিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়। যেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল স্বশরীরে উপস্থি করাতে বলা হয়। এখন নিজেরাও তা পরিপালনের জন্য গত বৃহস্পতিবার মানব সম্পদ বিভাগ থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে বলা হয়েছে, বিভাগের কাজের ধরন অনুযায়ী নূন্যতম সংখ্যক (অনধিক ৫০ শতাংশ) স্বশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগীয় প্রধান এবং শাখা অফিসের প্রধানরা কাজের গুরুত্ব বিবেচনায় ও বাস্তবতার নিরিখে সুষ্ঠুভাবে অফিস পরিচালনার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব বণ্টন ও রোস্টারিং করতে পারবেন। ব্যাংকে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার সময়কাল এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নূন্যতম পর্যায়ে থাকে এবং দৈনন্দিন কাজে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।

একে আরও বলা হয়, রোস্টিরিংয়ের সময় বাসায় অবস্থানকারীদেরও বাসা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। অপর এক আদেশের মাধ্যমে যেসব কর্মকর্তা জটিল রোগে আক্রান্ত তাদেরকে ১৫ দিন বা এক মাসের অসমন্বিত ছুটি দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ঝুঁকি কমানো ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে রোস্টারিংয়ের কথা আগেই বলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার যে পদ্ধতি তাতে রোস্টারিং না করেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা সম্ভব। তারপরও অধিক সতর্কতার জন্য এ আদেশ জারি করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগ ও শাখা অফিসের প্রধানগণ অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে অফিস বা রোস্টারিং করবেন। রোস্টারিংয়ের ক্ষেত্রে দৈনন্দিন কার্যক্রমে যেন কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত