সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ জুন, ২০২০ ১৮:২৪

মাস্ক ও পিপিই কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে সুরক্ষা সরঞ্জাম মাস্ক ও পিপিই কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএমডি) কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। রোববার (২১ জুন) দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রণব জানান, এর আগে দুদক অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করে। রোববার টিমের প্রধান মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর সই করা চিঠিতে তথ্য ও রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএমডি) কাছ থেকে। মন্ত্রণালয়ের সচিব, অধিদফতরের মহাপরিচালক ও সিএমএসডি পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব চিঠিতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তথ্য ও রেকর্ডপত্র সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো দুদকের চিঠিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি (মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজার, আইসিইউয়ের যন্ত্রপাতি, ভেন্টিলেটর, পিসিআর মেশিন, কোভিড টেস্ট কিট ও অন্যান্য) কেনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ পর্যন্ত গৃহীত প্রকল্পগুলোর নাম, বরাদ্দ ও খরচ করা অর্থের পরিমাণ এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়/স্বাস্থ্য অধিদফতর/সিএমএসডি) তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুধু তাই নয়, চিঠিতে মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লি., ঢাকাসহ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের কপি চাওয়া হয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে যেসব ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছে তাদের নাম, পদবী, বর্তমান কর্মস্থল, আগের কর্মস্থল, মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের পরিচালকের কাছেও বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক রেকর্ড-পত্র চাওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি দমনে দুদক কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আজই মাস্ক-পিপিইসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে অতি জরুরি চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুদক আইন, ২০০৪ ও দুদক বিধিমালা-২০০৭ অনুযায়ী এসব চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব তথ্য ও রেকর্ডপত্র দিয়ে দুদককে সহায়তা করবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত