সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ১৬:৫২

মুশতাকের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক: কাদের

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রোববার সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

কাদের বলেন, ‘লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি আশা করি, তদন্তের মাধ্যমে লেখক মুশতাকের মৃত্যু-রহস্য উন্মোচিত হবে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কাদের বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনি এই আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। স্বাধীনতা মানে এই নয় যে যার মতো যা খুশি বলার নিরঙ্কুশ বা একচেটিয়া অধিকার থাকবে।

‘অন্যের মতামতকে সম্মান জানানোও স্বাধীন মতপ্রকাশের সীমানাভুক্ত। সরকার অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এই আইনের ব্যবহার নিয়ে। কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যাতে এই আইনের অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকে নজর থাকা জরুরি। মুশতাকের দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্তাধীন। তাই তদন্তাধীন ইস্যুতে একটি কুচক্রী মহল ঘোলা মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে।’

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

এই আইনেই গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার মৃত্যুর পর থেকেই আইন নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে সমালোচনা-প্রতিবাদ।

ঠিক কী কারণে ৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে ময়নাতদন্ত হয়েছে। গঠন করা হয়েছে একাধিক তদন্ত কমিটিও।

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান শুরু

এদিকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রোববার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার কাজ পুনরায় শুরু করেছে বিআরটিএ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়েও লাইসেন্স প্রদানের কাজ শুরু করা হবে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের পরিচয় দিতে হবে।’

যানবাহনের ফিটনেস সনদ গ্রহণের বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকার সেবা সহজীকরণে এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যেকোনো সার্কেল অফিস হতে যানবাহনের ফিটনেস সনদ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।’

বিআরটিএর বিষয়ে কাদের বলেন, ‘বিআরটিএকে একটি সঠিক সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে এখনও গ্রাহক ভোগান্তি আছে। তবে এ ভোগান্তি প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে কমে আসছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সেবার আওতা বাড়ানা গেলে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনেকটা কমে যাবে। বিআরটিএতে এখনও দালালের দৌরাত্ম্য রয়েছে। অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের সখ্যে গড়ে উঠেছে এ চক্র।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত