সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ জুলাই, ২০২২ ১৫:২৬

সাবরিনা-আরিফরা মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছেন: রায়ের পর্যবেক্ষণ

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ‘ভুয়া’ রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণের বিচারক বলেন, ডা. সাবরিনা-আরিফসহ অন্য আসামিরা করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন। যার মাধ্যমে তারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছেন। এজন্য তাদেরকে সাজা দেওয়া হলো।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় তাদের কারাগারে গারদখানায় রাখা হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে তাদের আদালতে তোলা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আদালত ১২টা ২৫ মিনিট রায় পড়া শুরু করেন।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হলে দুজনকেই গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে এ মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। গত ১১ মে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। গত ২৯ জুন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত