০৬ এপ্রিল, ২০১৬ ২৩:৪১
রাজধানী ঢাকায় নাজিমুদ্দিন সামাদ নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র খুন হয়েছেন। তার বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়। সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা।
বুধবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে কোন এক সময় সূত্রাপুর এলাকার একরামপুর মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। নাজুমিদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের (এলএলএম) ‘বি’ সেকশনের একজন ছাত্র। তার বয়স ২৬।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন সাহা জানান, গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন, পরে তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারা এবং কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ এখনো কোন ধারনা করতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হবার পর প্রচুর রক্ত ক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, মোটরসাইকেলে যোগে ৩-৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে প্রথমে তাকে ধারালো অস্ত্র দিকে কুপানোর পর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাজিম উদ্দিন ইকরামপুর মোড় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ওই সময় কয়েক যুবক তার গতিরোধ করে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে গুলি করে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই সময় তারা 'আল্লাহু আকবার' স্লোগান দেয়। গুলির শব্দে ওই এলাকার কয়েকটি দোকান বন্ধ করে লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পথচারীরাও দৌড়াতে থাকেন।
বুধবার রাত ৯টার দিকে সূত্রাপুরস্থ একরামপুর মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্ত ও মাথার মগজ পড়ে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে বলে সূত্রপুর থানার ওসি জানিয়েছেন।
নাজিমুদ্দিন সামাদ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলন চলাকালীন সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের অবস্থান কর্মসূচিতেও তিনি এসেছিলেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ,সিলেট জেলা শাখার তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে তাঁর প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) একটি স্ট্যাটাসে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
আপনার মন্তব্য