সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৬ ১৪:১৫

হাইকোর্টেও নাকচ হলো সাংসদ রানার জামিন

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলার আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৯ অক্টোবর) বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিক ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সাংসদ রানার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী স ম রেজাউল করিম ও ড. বশিরউল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোশাররফ হোসেন সরদার।

আইনজীবী রেজাউল করিম জানান, জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যার অভিযোগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

পরে গত ৬ এপ্রিল টাঙ্গাইলের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—আনিসুল ইসলাম রাজা, কবির হোসেন, সাবেক কমিশনার মাসুদ মিয়া, চাঁন, নুরু, সানোয়ার হোসেন, বাবু, ফরিদ হোসেন, আবদুল হক ও সমির হোসেন। এর মধ্যে আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও সমির হোসেন আগেই গ্রেপ্তার হয়ে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন। আরেক আসামি ফরিদ হোসেন কিছুদিন আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। এ ছাড়া আরেক আসামি আবদুল হক পলাতক অবস্থায় কয়েক মাস আগে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ফারুক আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত