বেনাপোল প্রতিনিধি

০৪ আগস্ট, ২০১৭ ২০:১৪

‘অনিয়ম’ নিয়ে রিপোর্ট: বেনাপোলে সাংবাদিককে মারধর বিজিবি সিও আরিফের

বেনাপোল চেকপোস্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করায় এক সাংবাদিককে ক্যাম্পে নিয়ে মারধর করেছেন বিজিবি ৪৯ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আরিফ। আক্রান্ত ওই সাংবাদিক বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আজিজুল হক। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসার পর আজিজুল হকের শরীরে মারধরের চিহ্ন প্রকাশিত হলেও বিজিবির পক্ষ থেকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

জানা যায়, ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে গিয়ে আজিজকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আরিফ। বুকে, পিঠে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। রিপোর্টের তথ্য-প্রমাণস্বরূপ ভিডিও ফুটেজ, ছবি, ভয়েস রেকর্ড নিয়ে গেলে সেগুলো না দেখে উল্টো গালাগালও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভয়-ভীতি দেখানো হয় মামলা করার ও পুলিশে দেওয়ার। যদিও পাশে থাকা বিজিবির অন্য সদস্যদের কাছে তাৎক্ষণিক আজিজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা খারাপ কোনও রেকর্ড নেই বলে জানান।

গত ৩ আগস্ট বাংলানিউজে ‘বেনাপোল সীমান্তে অরক্ষিত বাংলাদেশ প্রবেশ দ্বার’ শিরোনামের একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এতে চেকপোস্টে দুই দেশের নিরাপত্তার ধরন তুলে ধরেন আজিজুল হক।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও কাস্টমস কর্মকর্তারা ওপারের প্রবেশদ্বারে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করলেও বাংলাদেশের প্রবেশদ্বারগুলো পাওয়া যায় সম্পূর্ণ অরক্ষিতভাবে। বিজিবি সদস্যদের সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না। এ ঘটনার সব রকম তথ্য-প্রমাণসহ রিপোর্ট করেন আজিজ।

রিপোর্ট প্রকাশের আগে বিজিবির ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আজিজ। পরে রিপোর্ট প্রকাশ হলে ওইদিন বিকেলেই ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল ওয়াহাব তাকে সিও দেখা করতে বলেছেন বলে ডেকে পাঠান। এসময় আজিজ তার কাছে সব ধরনের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে বললে পরে আবার দেখা করতে বলেন।

সে অনুযায়ী শুক্রবার (৪ আগস্ট) আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পে অন্য একজন সাংবাদিকসহ গেলে তাকে চলে যেতে বলে আজিজকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কিল-লাথি মেরে মারধর করেন কর্নেল ‍আরিফ। পরে তুই-তোকারি করে চলে যেতে বললে চলে আসেন আজিজ।

এ বিষয়ে লে. কর্নেল আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজিজুল হক যে রিপোর্ট করেছেন সেটা ঠিক নয়। ওনাকে ক্যাম্পে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, কোনও রকম মারধর করা হয়নি। পরে বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত