২৩ নভেম্বর, ২০১৭ ১৩:৫৩
আত্মপক্ষ সমর্থনে ছয় দিন আদালতে গিয়েও কথা শেষ হয়নি খালেদা জিয়ার। আগামী ৩০ নভেম্বর সপ্তম বারের মতো বক্তব্য দেবেন তিনি। পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত এই দিন ধার্য করেছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিতে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ষষ্ঠ বারের মতো আদালতে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে বিশেষ আদালতে এসে পৌঁছান তিনি। ১১টা ৩১ মিনিটে তিনি বক্তব্য শুরু করেন, শেষ করেন ১২টা ৪৫ মিনিটে। তবে তার বক্তব্য শেষ না হওয়ায় আগামী ৩০ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
খালেদা জিয়া আদালতে বক্তব্য শুরু করার আগে পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য শেষ করার আহ্বান জানান তার প্রতি। এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, তিনি (খালেদা) খুবই অসুস্থবোধ করছেন। তবুও তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই কিছু বক্তব্য তুলে ধরবেন। এরপর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে তার ষষ্ঠ দিনের বক্তব্য দিতে শুরু করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এই দুই মামলায় গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ১৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পান তিনি। গত ১৯ অক্টোবর, ২৬ অক্টোবর, ২, ৯ ও ১৬ নভেম্বর এই পাঁচ দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। তবে তার বক্তব্য শেষ হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। আর এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে সংস্থাটি।
দুই মামলার অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
আপনার মন্তব্য