সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:০৭

বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর যৌথ টহল

বঙ্গোপসাগরে দ্বিতীয়বারের মতো দুই দেশের সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ও টহল বিমানের (মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট) অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে যৌথ টহল-Coordinated Patrol (CORPAT)।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে এই টহল শুরু হয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) ভারতের বিশাখাপত্তমে পৌঁছে শেষ হবে।

উক্ত টহলে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ বানৌজা ‘স্বাধীনতা’ ও ‘আলী হায়দার’ বুধবার (৯ অক্টোবর) খুলনার মংলা নৌজেটি ত্যাগ করে। নৌ জেটি ত্যাগের প্রাক্কালে নৌবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী সুসজ্জিত বাদকদল বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের বিদায় জানায়।

এ সময় কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টসহ স্থানীয় নৌকর্মকর্তা, নাবিক এবং জাহাজে গমনকারী কর্মকর্তা ও নাবিকদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

যৌথ এ টহলে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ অংশগ্রহণ করবে। যাত্রাপথে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ দুটি বিশাখাপত্তমে পৌঁছে যৌথ টহল সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।

সমুদ্র এলাকায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, চোরাচালান ও মানবপাচার, জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনের লক্ষ্যে এ যৌথ টহল পরিচালিত হবে। দু’দেশের এই যৌথ টহল বঙ্গোপসাগরে নিজ নিজ জলসীমায় সমুদ্র বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান, তথ্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রপথে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাহাজসমূহ চিহ্নিতকরণ ও বিভিন্ন অপরাধ নিরসনকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা রক্ষা, সমুদ্র নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবেলা ও সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। যৌথ এ টহল শেষে যুদ্ধজাহাজ দুটি ১৮ অক্টোবর দেশে প্রত্যাবর্তন করবে।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত