সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:১৮

টুপিটি আইএসের নয়: মনিরুল

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকার আদলে পরা এক টুপি নিয়ে আলোচনার সময়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, “আদালত প্রাঙ্গণে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টুপি পরেছে। সেটাতে লেখা আছে, ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু’। তবে এটি আইএসের টুপি নয়।’

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে গুলশান হামলা মামলার রায়-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জানামতে, আইএস কোনও টুপি তৈরি করেছে, পৃথিবীর কোথাও এরকম দৃষ্টান্ত নেই।’

তিনি বলেন, “এটি একটি টুপি। সেটিতে ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু’ লেখা। সেটি আইএসের পতাকার নির্দেশক হবে কিনা, তা বিশ্লেষণের ব্যাপার। তারপরও এটি কোথা থেকে, কীভাবে এলো, সেটি আমরা তদন্ত করে দেখবো।’

সিটিটিসি প্রধান বলেন, “কালো কাপড় ব্যবহার করা যেকোনও জঙ্গি সংগঠনের রেওয়াজ। আল-কায়দার জঙ্গিরাও কালো কাপড়ে ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু’ লেখে। ফলে টুপিতে ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু’ লিখলেই কোনও কিছু বোঝা যায় না।”

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘টুপি বানানোর ধারণা আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির মাথায়ও আসেনি। এই ক্ষেত্রে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখবো এটি আইএসের টুপি কিনা। পাশাপাশি এটি কীভাবে সে পেলো, সেখানে দায়িত্বে পালনে কারো গাফিলতি ছিল কিনা, তা আমরা তদন্ত করে দেখবো।’

আদালত চত্বর ও কাঠগড়ায় জঙ্গিদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ‘জঙ্গিরা আদালত প্রাঙ্গণে যে বক্তব্য দিয়েছে, প্রিজনভ্যানে যে বক্তব্য দিয়েছে, এতে প্রমাণিত হয় তারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এর পক্ষেই তারা কথা বলেছে। এটি তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।’

তিনি বলেন, ‘যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সময় পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছে, এই ২১ জনকে মানুষের পর্যায়ে ফেলা যায় না। এদের কোনও মনুষ্যত্ব নেই। এতবড় নৃশংস হত্যাকাণ্ড যারা ঘটাতে পারে, সেটি আবার ধর্মের নামে জাস্টিফাই করে! তারা মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বার্তা আমরা আদালত প্রাঙ্গণে লক্ষ করেছি। দেশের সাধারণ মানুষ তাদের ঘৃণা করছেন। তাদের এই মেসেজ মানুষের মনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’ জঙ্গিদের এই আচরণে সাধারণ মানুষ আরও বেশি তাদের ঘৃণা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বিচার শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় বুধবার বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। যে আসামি টুপিটি পরেছিল তার নাম রকিবুল হাসান রিগান। জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষক বলেই তার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত