সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৪:৪১

ব্রাদারের বিরুদ্ধে রোগীর স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শাহিনুল ইসলাম নামে এক ব্রাদারের বিরুদ্ধে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে  বলেন, ‘এসব অভিযোগ ঠিক না।’। ঘটনা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীর ভাশুর মঞ্জু অভিযোগ করেন, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তার ছোট ভাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও স্বজনরা তার দেখাশোনা করছেন। শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত জ্যেষ্ঠ ব্রাদার শাহিনুল ইসলাম কৌশলে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে (২০) তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তিনিও অসুস্থ এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করার দরকার বলে ব্রাদার জানান।

রক্তচাপ পরীক্ষা করার সময় তিনি ওই নারীকে যৌন হয়রানি করেন। ওই নারী বিষয়টি তার স্বজনদের জানান। এরপর ওই নারীর ভাশুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন।

ওই নারীর ভাশুর বলেন, শাহিনুল হক নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চিকিৎসা নিতে আগ্রহ না দেখালেও তিনি (শাহিনুল ইসলাম) ডেকে নিয়ে রক্তচাপ মাপেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. গোলাম রব্বানী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীর স্বামী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। স্বামীর সঙ্গে থাকায় ওই নারীও অসুস্থ হয়ে পড়েন।এজন্য তিনি নিজেই ব্রাদার শাহিনুল ইসলামকে চেকআপ করতে বলেছেন। তবে ওই নারীকে চেকআপ করার সময় তার ভাশুর চিকিৎসকের রুমে প্রবেশ করে এবং তার ভাইয়ের স্ত্রীকে চেকআপের বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি। এজন্য পরে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরেক আবাসিক চিকিৎসক হাসান আলী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএ) নির্দেশে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার তদন্ত কমিটির সদস্যরা বসবেন। এ ছাড়া প্রাথমিক তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, শাহিনুল ইসলাম এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারা শাহিনুলকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন। সম্মানহানির ভয়ে অভিযোগ দেননি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচএ) নার্সদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন। তিনি পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে গেলে শাহিনুল ইসলাম নার্সদের কক্ষের সিসি ক্যামেরাও অপসারণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের নির্দেশে ক্যামেরা খুলে রাখা হয়েছে। অভিযোগগুলো সঠিক নয়।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত