সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৪:৩৭

সীতাকুণ্ডে জাহাজে আটকে আছেন ১৭ চীনা নাবিক

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে কাটিংয়ের জন্য স্ক্র্যাপ জাহাজ নিয়ে এসে আটকা ১৭ চীনা নাবিক। জাহাজটির আমদানিকারক কিংবা ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ তাদেরকে গত দুই দিনেও জাহাজ থেকে নিচে নামতে দেয়নি।

সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস আতংকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ধারণা করা হলেও কর্তৃপক্ষের দাবি তারা করোনাভাইরাসে আতংক নয় আইনগত জটিলতার কারণেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সীতাকুণ্ডের কদমরসুল সাগর উপকূলে অবস্থিত হাজী মো. লিয়াকত আলীর মালিকানাধীন লালবেগ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে জাপানের পতাকাবাহী ৯ হাজার টন ওজনের ইউনি হারভেস্ট কার্গো নামক একটি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়। এই জাহাজটি আসে চীনের একটি সমুদ্র বন্দর থেকে।

বিভিন্ন দেশের নাবিকরা এটি চালিয়ে সীতাকুণ্ড উপকূলবর্তী এই ইয়ার্ডে জাহাজটি আমদানি করার পর অন্যান্য দেশের নাবিকরা শনিবার বিকালেই জাহাজ থেকে নেমে পুনরায় নিজ দেশের উদ্দেশ্যে চলে যান। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয় জাহাজে থাকা ১৭ জন চীনা নাবিক নিয়ে। করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই চীনা নাগরিকদের জাহাজ থেকে নিচে নামানোর ঝুঁকি নিতে চান না শিপইয়ার্ড মালিক কিংবা আমদানিকারক এজেন্ট কেউই। ফলে গত দুই দিন ধরে ওই নাবিকরা জাহাজেই আটকে আছেন।

এ বিষয়ে জাহাজ আমদানিকারক (এজেন্ট) প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজ সৈকয়াতন করার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের নিজের দেশে পাঠানো হয়। জাহাজের ল্যান্ডিং অনুমোদনের পর বন্দর কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে আসা নাবিকদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে তারা দেশে যেতে পারেন।

কিন্তু জাহাজে থাকা চীনা ১৭ নাবিকের বিষয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। বন্দর হেলথ অথোরিটি জানিয়েছে তাদের শরীরের কোনো ভাইরাস নেই। তাই বিমানের টিকেট নিশ্চিত হলে তাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মো. শামীম শেখ বলেন, আমরা ১৭ চীনা নাবিক স্ক্র্যাপ জাহাজে আটকে আছেন জেনে জাহাজের এজেন্ট, শিপইয়ার্ড মালিক সবার সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিয়ে সমস্যা চলছে। তাই তাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে সব প্রক্রিয়া শেষ করেই তাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত