সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৮:৫৭

কচুরিপানা নিয়ে গবেষণার তাগিদ পরিকল্পনামন্ত্রীর

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষির মাধ্যমেই হয়েছে এবং ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে সেটা ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান কাঁঠাল ও কচুরিপানা নিয়ে আরও গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণায় অবদান রাখায় দু’জনের হাতে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ তাগিদ দেন।

মন্ত্রী বলেন, বড় কাঁঠাল গবেষণার মাধ্যমে আকারে ছোট হলে সুবিধা হবে, এজন্যও গবেষণা দরকার। আমি আপনাকে (গবেষককে) বলবো, কাঁঠাল নিয়ে আরও গবেষণা করতে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী কাঁঠালের আকার ছোট করার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এখন কাঁঠালের আকার অনেক বড় হওয়ায় প্রায় ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আপনারা কাঁঠালের আকারটা আরেকটু ছোট কীভাবে করা যায়, তা গবেষণা করতে পারেন। কাঁঠালের আকার সিভিলাইজড করেন।

এরপর হাসতে-হাসতে বলেন, আর কচুরিপানা কিছু করা যায় কিনা হা হা হা....। কচুরিপানার পাতা... আমি গ্রামের ছেলে... আমাদের এলাকায় নদীগুলো সব কচুরিপানায়..., কচুরিপানা খাওয়া যায়না কোনোমতে? হা হা হা। এসময় পাশ থেকে একজন বললেন, 'গরু খায় স্যার। এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'গরু খায় তাহলে আমরা কেন পারবো না, টক্সিন আছে না কি?

মন্ত্রী কচুরিপানা নিয়ে গবেষণার তাগিদ দিয়ে বলেন, কচুরিপানাকে খাওয়ার উপযোগী করা যায় কি না, দেখেন। আমরা খেতে না পারলেও গরু তো খায়, গবেষণা করে তাদের জন্য হলেও পুষ্টি বাড়ানো যায় কি না, তা দেখা যাক।

কৃষি গবেষণায় অবদান রাখার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. অধ্যাপক শামসুল আলম ও কৃষি গবেষক এমএ রহিমকে “রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯” তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

বিকেলে এক সভায় পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছরের জনশুমারি হবে নিখুঁত।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্প ঢাকা বিভাগে সফল করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে নিখুঁত পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। আমার বিশ্বাস, এবার চমৎকার একটা শুমারি হবে। চমৎকার একটা ফলও পাবো। গুণগত মান ঠিক করেই জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পরিসংখ্যান বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমাদের পরিসংখ্যান নিয়ে এর আগে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে এবার জনশুমারি ও গৃহগণনা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকবে না।

সভায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদুল হক সরদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত