সিলেটটুডে ডেস্ক:

০৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৪৯

সরকার সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ কমিশনার বললেন- ঢাকার বাইরে সভা করা যাবে না, কোনো প্রোগ্রাম করা যাবে না। কেন? কোন আইনে ঢাকার বাইরে সভা করতে দেবেন না? এটা কি মগের মুল্লুক নাকি?

তিনি বলেন, সরকার দেশে পরিকল্পিতভাবে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। তবে বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাধাকে অতিক্রম করতে হবে।

আজ রোববার দুপুরে এক প্রতিবাদ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নওগাঁয় র‍্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র নেই বলেই কারও অধিকার নেই। এমন একটি সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকার জন্য অনেক আইন তৈরি করেছে। তারা সংবিধানের মৌলিক জায়গাগুলো পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। সেই হরতালে অনেক মানুষকে হত্যা করেছিল তারা। তৎকালীন নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ২০১২ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দেয়। কারণ তারা জানে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে তারা আর ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না। এভাবে তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে। আওয়ামী লীগ এককভাবে বাকশাল কায়েম করতে চায়। সেই ধারাবাহিকতায় তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে।

নওগাঁর সুলতানা জেসমিনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। একজন যুগ্ম সচিবের কথায় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। এটা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক কিছু হতে পারে না। একজন নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তাকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া ভয়াবহ আইনের লঙ্ঘন। সুলতানা জেসমিন র্যাবের নির্যাতনে বা স্ট্রোক করে মারা গেলেন, এটা পরের প্রশ্ন। প্রশ্ন একটাই, তাকে তুলে নেওয়া হলো কোন আইনে?

মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান মেনে চলতে হবে। সংবিধানে তো বলাই আছে, আমার কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে কি কথা বলা যাবে না?

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মহিলা দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়েবা ইউসুফ, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত