নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ জুন, ২০২৩ ০২:১৮

রওশন-কাদের দ্বন্দ্ব: ঢাকা-১৭ আসনে লাঙ্গল পাবে কে?

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। এ আসনের উপনির্বাচনে দেবর-ভাবি দুজনই তাদের প্রার্থী দিয়েছেন।

তবে কার প্রার্থী লাঙ্গল পাচ্ছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে রোববার।

আসনটির উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আইন-বিধি ও আরপিও দেখে যাচাই-বাছাইয়ের দিন আগামী রোববার বেলা ১১টায় জানানো যাবে।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খানের কাছে বুধবার জাতীয় পার্টির নামে মনোনয়নপত্র জমা দেন কাজী মামুনুর রশীদ, আর বৃহস্পতিবার একই দলের নামে মনোনয়নপত্র জমা দেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিকদার আনিছুর রহমান।

কাজী মামুনুর রশীদ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের প্রার্থী। আর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিকদার আনিছুর রহমান পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের প্রার্থী।

কাজী মামুনুর রশীদ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার ছিলেন। কয়েক মাস আগে তাকে অব্যাহতি দেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলনসহ কয়েকজন।

একই দলের দুইজনের মনোনয়নপত্র জমাদান প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেছেন, আনিছুর যে তাদের দলের প্রার্থী, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, দলের চেয়ারম্যানকে পাশ কাটিয়ে রওশনের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা নেই।

চুন্নুর এই মন্তব্যের বিষয়ে রওশনপন্থী নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মনোনয়ন দিতে পারেন বলেই মনোনয়ন দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মামুনুর।

আকবর হোসেন খান পাঠানের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন দলীয় প্রতীকে এবং পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

দলীয় প্রতীকে মনোনয়নপত্র দাখিল করা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান ও মো. মামুনুর রশিদ, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির অশোক কুমার ধর, মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. মজিবুর রহমান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মো. আশরাফুল হোসেন (হিরো আলম), মো. তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, আবু আজম খান, মুসাউর রহমান খান ও শেখ আসাদুজ্জামান।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ জুন। ১৭ জুলাই এই উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত