২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:৪৮
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা মহানগর পুলিশ জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ করতে আরামবাগ হাই স্কুল ও কলেজের সামনের মঞ্চ তৈরি করছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।
শনিবার বেলা পৌন ১টার দিকে নটরডেম কলেজের দক্ষিণ পাশের গলি দিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড পার হয়ে জামায়াতের শত শত নেতাকর্মী মঞ্চের কাছে চলে যান। পরে পুলিশ আবারও সেখানে ব্যারিকেড দেয়। আরামবাগ হাই স্কুলের দুই পাশে পুলিশের ব্যারিকেডের দুই দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অবস্থান নিয়ে আছেন।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, সমাবেশ করতে জামায়াতে ইসলামীকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জামায়াতের কর্মীদের সরিয়ে দিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াত। কিন্তু নিবন্ধন না থাকায় তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ।
জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা থাকায় শনিবার সকাল থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা। শাপলা চত্বরের প্রবেশপথের সড়কগুলোতে বসানো হয় ব্যারিকেড। বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা আরামবাগের সড়কে জড়ো হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার পর তারা আরামবাগ হাই স্কুল ও কলেজের পাশে সড়কের পশ্চিম পাশে মাইক ও ছোট কয়েকটি মিনি ট্রাক জড়ো করে মঞ্চ তৈরি শুরু করেন।
বেলা পৌনে একটার দিকে নটরডেম কলেজের সামনে পুলিশের একটি ব্যারিকেড ভেঙ্গে মতিঝিলের দিকে এগিয়ে যান জামাতকর্মীরা। পুলিশ তখন সরে গিয়ে সারা টাওয়ারের সামনের ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নেয়। তখন আরামবাগের পাশাপাশি নটরডেম কলেজের সামনেও অবস্থান নেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আমরা জামায়াতে ইসলামীকে ডিসপাস করার জন্য পুলিশকে বলেছি। কীভাবে ডিসপাস করব এটা আমাদের কৌশলগত বিষয়।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা ভায়োলেন্স করলে আমরা অ্যাকশনে যাব।
আপনার মন্তব্য