সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৬:৪৯

বুধবার মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি

রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জামিন শুনানির জন্য তাকে বেলা ১১:৪০ মিনিটে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সোয়া ১টায় মির্জা ফখরুলকে এজলাসে নেওয়া হয়।

মির্জা ফখরুলের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে তা মঞ্জুর করেন। জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে।

শুনানিতে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা বলেন, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুসহ ৩ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আর স্বাধীন দেশে বিএনপির হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বহির্বিশ্বে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে হিসাবে পরিচিত। অথচ তার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। স্বাধীন দেশে আমরা এমন কিছু প্রত্যাশা করি না।

আইনজীবীরা বলেন, ৯ মামলায় প্রত্যেকটিতে বলা হয়েছে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে মির্জা ফখরুল নাকি নাশকতার উসকানি দিয়েছে। সারাবিশ্ব জানে বিএনপি ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম যদি আপোষ করতেন তাহলে ৭৬ বছর বয়সে এখানে আসতে হতো না। গ্রেপ্তারের পর তার ৫ কেজি ওজন কমে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য হলো একতরফা যেন ভোট করা যায়। তিনি হার্টের রোগী। মির্জা ফখরুলের জামিন দেন।

তারা আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশের একজন জাতীয় নেতা ও তিনি সাবেক মন্ত্রী। রাজনীতিবিদদের বাঁচতে দিন। অন্য আসামিরা যেমন জামিন পাচ্ছেন তাকেও জামিন দেওয়া হোক। তিনি অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ১০০টির মতো মামলা রয়েছে। তিনি নিয়মিত আদালতে এসে মামলার হাজিরা দেন। তাকে জামিন দিলে তিনি আদালতের শর্ত মেনে হাজিরা দিবেন।

এর আগে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী আসাদুজ্জামান, মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা, ওরম ফারুক ফারুকীসহ আরও অনেকেই ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের এই ৯ মামলায় জামিন চেয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবী মেজবাহ। পুলিশ তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার না দেখানোয় আদালত তার শুনানি গ্রহণ করেননি। এরপর তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট আইন অনুযায়ী জামিন শুনানি গ্রহণের নির্দেশ দেন।

গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত