সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ মার্চ, ২০২৪ ১৪:২৬

ভারত ছিল বলে নির্বাচনে বিদেশিদের অশুভ হস্তক্ষেপ হয়নি: ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের পাশে ভারত থাকায় বড় অন্য রাষ্ট্রগুলো হস্তক্ষেপ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রগুলো অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল, তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলেই ৬৮ বছরের সমস্যা ছিটমহল বিনিময় শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শনিবার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাদের বলেন, ধৈর্যধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন, এটি সমীচীন নয়। প্রশ্ন রাখেন ভারতবিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে?

‘যারা নির্বাচনে আসেনি, এটি তাদের অপপ্রচারে একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন ভারতবিরোধিতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনও তারা সেটি করছে।’

বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যাহারা করুক, এর সূত্র খুঁজতে হবে।

‘প্রকৃত সত্য বের করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এখানে সক্রিয় আছে। সংকট সমাধানের যোগ্য নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংখ্যালঘু ধারণাটাই একটা দাসত্বের শেকল। ভেঙে ফেলতে হবে। দাসত্ব কেন করবেন? বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে? কেন নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সকল ধর্মের মানুষের সমান অবদান ছিল।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হিন্দুদের জমি দখল ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু দুর্বৃত্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাকিলা করতে হবে।

এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে ততদিন সংখ্যালঘুদের পাশে থাকবে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও সনাতন ধর্মের নেতারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত