সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৫৬

জাতীয় পার্টির সমাবেশে পুলিশের বাধা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পার্টির (জাপা) ডাকা কর্মী সমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গিয়েছে।

বেলা ৩.৩৭ মিনিটে সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও টিয়ারশেল ছুড়লে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এ সময় সভামঞ্চে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের ভাষ্য, মৌখিকভাবে জাতীয় পার্টিকে বলা হয়েছিল রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপর চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। কয়েকবার তাদের সতর্ক করার পরও শোনেনি। অন্যদিকে দলটির দাবি সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাকরাইলের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন। তখন পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। এ সময় পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ছিল। সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা করেছে। পুলিশের সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ যেভাবে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে, পানি ছিটিয়েছে, তাতে পদদলিত হয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। পুলিশ দায়িত্বহীন আচরণ করেছে।’

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সোলায়মান সামি বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের উপর মঞ্চে সভা চলছিল। প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদেরের বক্তব্য শেষে কো-চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র মোস্তাফিজ রহমান মোস্তফার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। একইসঙ্গে রমনা থানা প্রান্ত থেকে জলকামান ব্যবহার করা হয়। এতে সভা ভন্ডুল হয়ে যায়। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছে।’

পুলিশের রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদের একটি আবেদন করেছিল, সেটা আমরা গ্রহণ করিনি। এটা তো রাস্তা, আপনারা তো রাস্তায় কর্মসূচি পালন করতে পারেন না। মৌখিকভাবে আমরা তাদের বসছিলাম রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপর চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। আমরা তাদের কয়েকবার সতর্ক করেছি, আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা রমনা থানার ওসি নিজে গিয়ে তাদের রাস্তা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপরও তারা সরে না গেলে আমরা ছত্রভঙ্গ করার জন্য যা যা করার দরকার ছিল, তা করেছি।’

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত ৩০ আগস্ট জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত