সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ এপ্রিল, ২০১৬ ২০:২৮

আগামী পর্বের ইউপি নির্বাচন স্থগিতের আহ্বান ওয়ার্কার্স পার্টির

ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের আগামী পর্বের নির্বাচনগুলো স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা।

শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করে নেতারা এ আহ্বান জানান।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, নির্বাচনী ব্যবস্থা ও স্থানীয় সরকারের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু হাসান।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার এখন মৃত। তিনটি পর্যায়ে ধীরে ধীরে নির্বাচনকে অকার্যকর করা হয়েছে। এখন নির্বাচন বলে কিছু আসলে নেই। মানুষ আগে ভালো ইমেজধারীদের ভোট দিতো। এখন নিরাপত্তার খাতিরে উল্টো ইমেজের মানুষকে ভোট দিচ্ছে। ভাবছে, খারাপ লোককে কন্ট্রোল করতে খারাপ লোকই প্রতিনিধি হোক।

‘কিন্তু এটি খুব খারাপ লক্ষণ’- বলেন তিনি।

সাইফুল হক বলেন, সাংবিধানিকভাবে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা ও এখতিয়ার রয়েছে, নির্বাচন কমিশন তার পাঁচ শতাংশও কাজে লাগায়নি।

‘গণতান্ত্রিক উপায়ে, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং পেশিশক্তি, প্রশাসনিক প্রভাব ও টাকার খেলমুক্ত গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই’- বলেন তারা।

আবু হাসান বলেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী চার পর্বের নির্বাচনে আরও বহু নারী-পুরুষ যে প্রাণ হারাবেন, আহত হবেন- সে আশঙ্কাই প্রবল। ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদের ১২ পর্বের নির্বাচনে চারজন নিহত হয়েছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে দখলদারিত্বের নির্বাচনের কারণেই যে এই বিপুল হতাহতের ঘটনা, তা নিয়ে সন্দেহেরে বিশেষ অবকাশ নেই।

‘মানুষের আশা চরম হতাশা ও ক্ষোভে পর্যবসিত হয়েছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিতে পারায় লাখ লাখ ভোটার চরম অপমানিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রার্থীরাও নিজে ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪’র ৫ জানুয়ারির মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও সরকারি দলের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার হিড়িক শুরু হয়েছে। এটিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাদের ক্ষমতা ও যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে’।

‘যেদেশে জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রীক যে বড় রাজনৈতিক সংকট রয়েছে স্থানীয় সরকারের অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আস্থা, বিশ্বাস ও রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিবেশ তৈরি করে শান্তিপূর্ণ পথে সে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ হয়ত খুঁজে পাওয়া যেতো। এটা স্পষ্ট যে, সরকার ও সরকারি দল এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়নি, চাচ্ছে না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত