সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জুন, ২০১৬ ২১:২১

বাজেটে হিন্দুদেরকে তোষণ করা হয়েছে, ওলামা লীগের অভিযোগ

বাজেটে ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতিফলন না ঘটিয়ে উল্টো নগ্ন-ভাবে হিন্দুদেরকে বিশেষ তোষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে দাবি করা বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

শুক্রবার (৩ জুন) এক বিবৃতিতে ওলামা লীগের নেতারা বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্য করা হয়েছে। এ বাজেটে শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য অতিরিক্ত দুশো কোটি টাকার বরাদ্দ রেখে ধর্ম নিরপেক্ষ চেতনার মূলে কুঠারাঘাত করা হয়েছে। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করা হয়েছে। এমন একটি সাম্প্রদায়িক বিষয়ে মহান সংসদে কিভাবে আলোচিত হলো তা বোধগম্য নয়। কীভাবে অর্থমন্ত্রী এমন বরাদ্দ পেশ করতে পারলেন তা আমাদের বিস্ময়কে পরাভূত করেছে।

নেতারা বলেন, দেশের ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান, পাঁচ লাখেরও বেশি মসজিদ রয়েছে। যেগুলো বাঁশের বেড়ায় তৈরি। আর ইসলামী ফতোয়া মোতাবেক জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজে যে সওয়াব খাগড়াছড়ির বাঁশের বেড়ার মসজিদেরও একই সওয়াব। অর্থাৎ ইসলামের দৃষ্টিতে সব মসজিদেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই শুধু বায়তুল মোকাররম মসজিদেই শুধু বরাদ্দ করলে হবে না, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মসজিদ, এতিমখানা ও মক্তবের জন্যও বরাদ্দ থাকতে হবে। যেমনটি দেখা গেছে মন্দির ও তীর্থ স্থানের জন্য সরকারি বরাদ্দের ক্ষেত্রে।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের ইসলামী অনুষঙ্গের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয় আনুপাতিক হারে ২ জনেরও কম হিন্দু তার চেয়ে অনেক বেশী পায়। অর্থাৎ আগে থেকেই মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। এবারের বাজেটে নগ্ন-ভাবে হিন্দুদেরকে বিশেষ তোষণ করা হয়েছে। যা ৭২ এর সংবিধানের মূল চেতনা ধর্ম নিরপেক্ষতার খেলাপ। যার দ্বারা মুসলমানদের ধর্মীয়ভাবে বিশেষ বৈষম্য করা হলো। যা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূলে কুঠারাঘাত করা হয়েছে। এজন্য সরকারের উচিত, মুসলমানদের সব মসজিদের অবকাঠামো ও উন্নয়ন করা। মসজিদের বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল মওকুফ করা এবং আনুষঙ্গিক ধর্মীয় ব্যয় নির্বাহ করা।

এ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি পীরজাদা আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, কার্যকরী সভাপতি আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, আলহাজ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত