সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ১৬:০৪

পরে ‘কথা বলবেন’ আশরাফ, বৃহস্পতিবার লন্ডন যাচ্ছেন

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নিজে প্রার্থী না হয়ে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করে আলোচনার মধ্যে থাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাঁর পদ ছাড়ার বিষয়ে সময় হলে পরে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

সৈয়দ আশরাফের স্ত্রী লন্ডনে অসুস্থ। স্ত্রীকে দেখতে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দেশ ছাড়বেন তিনি। এজন্যে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন জমা দিয়েছেন।

স‌োমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে ব‌ের হওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, কেন সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়লেন? নতুন সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? জবাব‌ে সৈয়দ আশরাফ শুধু বলেন, 'সময় হল‌ে এ বিষয়ে পরে কথা বলব।'

অন্যদিক‌ে আওয়ামী লীগ‌ের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদ‌েরও মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছ‌ে কোনো মন্তব্য করেননি।

মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে সরাসরি ত‌িনি ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন যোগ দেয়ার উদ্দেশে রওনা হন।

উল্লেখ্য, শনিবার (২২ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর রোববার (২৩ অক্টোবর) কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। তিনি সৈয়দ আশরাফের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হলেন। এ সম্মেলনেই সৈয়দ আশরাফ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন। তিনি সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। গত ৩৫ বছর ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা হাসিনা আবারও সভাপতি নির্বাচিত হন এই কাউন্সিলে।

২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার পর সৈয়দ আশরাফ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফকে এরপর এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গত বছর হঠাত করে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। গুরুত্বপূর্ণ সে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। দপ্তরবিহীন করার এক সপ্তাহের মধ্যে সৈয়দ আশরাফকে দেওয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

অন‌্যদিকে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত‌্যাকাণ্ডের পর বিরূপ সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ওবায়দুল কাদের ডাকসুতে সংগঠনের হয়ে ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। ছাত্রজীবন শেষে তিনি দৈনিক বাংলার বাণীতে কাজ করতেন। আওয়ামী লীগের গত কাউন্সিলে সভাপতিমণ্ডলীতে আসার আগে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদেও ছিলেন। ২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার থাকাকালে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও নিয়ে তার সমালোচনা হয় সে সময়। এনিয়ে পরে ব্যাপক সমালোচিতও হন তিনি।

বিগত মহাজোট সরকারের (২০০৯-১৪) শেষ দিকে যোগাযোগ মন্ত্রী হন ওবায়দুল কাদের। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠন করলে সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। এর আগে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ওবায়দুল কাদের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত