সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০১৬ ১২:৩৫

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। বিএনপির প্রার্থীর হিসেবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এর আগে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর নাম ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত সাত খুনের মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন।

গত মেয়র নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, কিন্তু ভোটের ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। সে নির্বাচনে আইভী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে শামীম ওসমানকে এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। সে নির্বাচন নির্দলীয় ব্যানারে অনুষ্ঠিত হলেও দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। 

এবারের এ নির্বাচনে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলমকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিল বিএনপির। কিন্তু তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতার নাম আলোচনায় উঠে আসে। এর মধ্যে গত সোমবার রাতে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী দুই নেতা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান ও নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামালকে গুলশান কার্যালয়ে ডেকে পাঠান দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এরপরেই মঙ্গলবার সকালে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর আন্দোলন করতে গিয়ে আলোচনায় আসেন। ওই সময় তিনি সাত খুনের ঘটনার আসামিদের চাপ ও হুমকির শিকার হন।

তবে এর আগে ২০০৯ সালে তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী হয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে আলাদা করে পাল্টা বিএনপির কমিটি গঠন করেন। ওই বিদ্রোহী কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন সাখাওয়াত আর মূল ধারার নির্বাচিত সেক্রেটারি ছিলেন এটিএম কামাল। পরে অবশ্য এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, নাসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরি হয়নি। কিন্তু মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে। মানুষ ভোট দিতে চায়। একটি ইনক্লুসিভ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত প্রশাসনে যাঁরা দলীয় কর্মকর্তা আছেন, তাঁদের সরিয়ে নিরপেক্ষদের বসানো। এই প্রশাসন দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত