সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ২৩:১৯

গণমাধ্যমের সমালোচনা থেকে সাংসদদের ‘রক্ষায়’ আইন করার দাবি শামীম ওসমানের

গণমাধ্যমের সমালোচনা থেকে সাংসদদের ‘রক্ষায়’ আইন করার দাবি জানিয়েছেন নারায়নগঞ্জের আলোচিত সাংসদ শামীম ওসমান।

শামীম ওসমান বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এ দাবি জানান।

গণমাধ্যমের ‘পরিকল্পিত চরিত্র হনন’ থেকে এমপিদের সুরক্ষা দিতে এসময় সভাপতির আসনে বসা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শামীম।

তিনি বলেন, “আপনি (ডেপুটি স্পিকার) আমার বক্তব্যের পরে কিছু বলবেন। আমরা যদি কিছু করে থাকি তার তদন্ত হোক। আপনি তাদের (গণমাধ্যম) ডাকেন। বলেন- এই এমপির বিরুদ্ধে কী লেখা হয়েছে? প্রমাণ থাকলে দাও। আইন করেন। ওরা খেলায় নেমে গেছে।

নিজের বক্তব্যে দেশের ৯০ ভাগ সাংবাদিক ভালো বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। একই সঙ্গে কয়েকজন সাংবাদিকের নামোল্লেখ করেন তাদের কারণে সবার ওপর অপবাদ পড়ছে মন্তব্য তাঁর।

বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সমালোচনা করে দাবি করেন তিনি (ইকবাল সোবহান চৌধুরী) জামায়াতের গুরু যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে কাজ করেছিলেন।

বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত এ সাংসদ ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন নিয়ে এর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “দলের লোক, সুযোগ-সুবিধা নেন। উপদেষ্টা হলেন তার পত্রিকায় বলা হল- এমপিরা ড্রাগ ডিলার।

“১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানকে যখন নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দেইনি, এই লোক তখন কোথায় ছিলেন। এই ভদ্রলোক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে সই করেছিলেন। জামাতের প্রকাশিত বইয়ে লেখা আছে। কে এই লোক, আমাদের মধ্যে ঘেরাফেরা করে? ভদ্রলোক আমাদের কৃপায় টিকে আছেন। ইকবাল সোবহান চৌধুরী।”

নারায়ণগঞ্জে সাতখুনের সংবাদ প্রকাশ নিয়ে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেন, “নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার পর প্রথম আলো লিখল, আমি যুক্ত। আমি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। তথ্য সচিবকে লিখেছিলাম। ৩৮ মাস বসে ছিলাম। আজ রায় হয়েছে। উনারা কী বলবেন?”

আওয়ামী লীগের যেসব নেতা শেখ হাসিনার বিষয়ে ‘বিন্দুমাত্র আপস করবেন না’ তাদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করার প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগ নেতা শামীম বলেন, “ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম টেলিভিশনে স্বীকার করেছেন, উনার লেখার কারণে আমার নেত্রীকে ১১ মাস জেলে থাকতে হয়েছে। এই প্রথম আলোর আলপিনে নবীকে কটাক্ষ করা হয়েছে। খতীবের কাছে ক্ষমা চাইলেন। মন্ত্রী-এমপিদের চরিত্র হনন করছেন। এরা কারা? উলফার টাকায় প্রথম আলো প্রতিষ্ঠিত। নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশে মিটিং করছে। শকুনিরা গরম নিঃশ্বাস ফেলছে।”

দেশের ৯০ ভাগ সাংবাদিক ‘ভালো’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিন্তু এদের জন্য সবার উপর অপবাদ পড়ছে।”

গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, “আমার বন্ধু লিটন নিহত হয়েছে। আমার মনে হয় সে কষ্ট পেয়েছে এজন্য যে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হয়েছে। আমিও ভিকটিম।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত