সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ নভেম্বর, ২০১৭ ১৮:০৬

‘সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে’

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে যাওয়ার পথে গুলশানে রাস্তা আটকে দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এজন্য সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, এতো ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না।

এছাড়াও বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করলেই মানুষকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার প্রমাণ প্রধান বিচারপতি। তাকে জোর করে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গত দেড় বছরের মধ্যে ঢাকায় খালেদা জিয়ার এটাই প্রথম জনসভা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বশেষ গত বছরের ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি।

তবে সেটা ছিল শ্রমিক দলের কর্মসূচি। ঢাকায় বিএনপির প্রকাশ্য কর্মসূচিতে তার সর্বশেষ অংশগ্রহণ গত বছরের ৫ জানুয়ারি নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার বেলা ২টায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়।

এক ঘণ্টা পর খালেদা জিয়া সমাবেশস্থলে পৌঁছলে চার দিক থেকে তার নামে স্লোগান ওঠে। তিনি হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।

সমাবেশে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। এজন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দিতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।’

নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং ইভিএম বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েন করতে হবে। শুধু সেনা মোতায়েন নয়, তাদের ম্যজিস্ট্রেসি পাওয়ারও দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রে মত-পথের ভিন্ন থাকবেই। তবে সবাইকে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’ ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের ওপর কোনো প্রতিশোধ নেবেন না বলেও জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে দলে দলে নেতাকর্মী এসেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। দীর্ঘদিন পর রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পেয়ে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করেন। এসময় শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে।

সমাবেশ মঞ্চের আশপাশের ল্যাম্পপোস্ট, বিভিন্ন গাছে, নেতাকর্মীদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পোস্টার, ব্যানার ফেস্টুন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত