সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৯:১৮

‘জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো’

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সুখী সমৃদ্ধ জাতি গঠনের প্রতিটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শহীদ জিয়া নিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকত না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে যেভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনিভাবে জাতির দুর্যোগময় মুহুর্তে একদলীয় বাকশালী শাসনে বিপর্যস্ত জাতিকে মুক্তি দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। ফিরিয়ে দিয়েছেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।

রোববার (২১ জানুয়ারি) প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কর্মসূচীর শেষ দিনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান সততা, গভীর দেশপ্রেম ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ নানা গুণাবলির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। শহীদ জিয়া মানে স্বাধীনতা, জিয়া মানেই বাংলাদেশ এবং জিয়া মানেই গণতন্ত্র। শহীদ জিয়াকে যারা ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র করবে সময়ের ব্যবধানে তারাই ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের পরিচালনায় নগরীর সোবহানীঘাটস্থ আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সিলেট জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইলিয়াস আলী মেম্বারের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচীত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুল হুদা জায়গীরদার, সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দীকি ও মো. মঈনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল, আবুল কাশেম ও শামীম আহমদ, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট মো. ফখরুল হক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরমান আলী, প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ সোহেল, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক ও দিদার ইবনে তাহের লস্কর, সহ-ক্ষুদ্র ঋণ সম্পাদক এনামুল হক মাক্কু, সহ-বানিজ্য সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহ-শিশু সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জয়, জেলা সদস্য হেলালুজ্জামান হেলাল, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আহমদ রানু ও মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিহাব খান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ বাকশালী সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে আবার মুখে গণতন্ত্রের বুলি আউরিয়ে জাতির সাথে প্রতারণা করছে। বাকশালী শাসনে বিলুপ্ত গণতন্ত্রকে শহীদ জিয়াই ফিরিয়ে এনেছিলেন। বাকশালীরা আবারো গণতন্ত্রকে হত্যার মিশনে মেতে উঠেছে। এবারও অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য শহীদ জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরি আপোষহীন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। গণতন্ত্রকে মুক্ত না করা পর্যন্ত দেশপ্রেমিক জনতা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে মুক্তিকামী জনতার গণবিষ্ফোরনে বাকশালীদের অনিবার্য পতন ঘণ্টা বেজে যাবে। শহীদ জিয়ার আদর্শের কোটি সৈনিকেরা বাংলার মাটিতে বেঁচে থাকতে গণতন্ত্র নিয়ে আর কোন অপশক্তিকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত