সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ২১:৪২

সিলেটে যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে আপত্তি মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের

সিলেট মহানগরীর জন্য গঠিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)’র মহা পরিচালক, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই ২০১৬ সিলেট মহানগরীর জন্য গঠিত কমিটির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক আবেদন প্রদান করা হয়।

আবেদন প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ, ডেপুটি কমান্ডার কাউন্সিলর আব্দুল খালিক,সদস্য এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, এনায়েত আহমেদ, বেদানন্দ ভট্টাচার্য, নাজমীন হোসেন, নিজাম উদ্দিন লস্কর সহ ৬৫জন মুক্তিযোদ্ধা।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিগত ১৫ জানুয়ারি তৎপরবর্তিতে ১৮ জানুয়ারি জামুকা মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই’র জন্য গৃহীত নীতিমালায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্যেও সিলেট মহানগরের ডেপুটি কমান্ডার-১ আব্দুল খালিককে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করে সিলেট বিভাগের জেলা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মনাফ খান ও চিত্তরঞ্জন দেব কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্ণিত এই দুইজনের মধ্যে চিত্তরঞ্জন দেবের নাম অদ্যাবধি মুক্তিযোদ্ধা গেজেট ভুক্ত হয়নি। অপর দিকে মোঃ মনাফ খান ২০১৫ সালে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। এদের কারোরই ভারতীয় তালিকায় নাম নেই বিধায় সহজেই অনুমান করা যেতে পারে যে তারা দুজনই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের নিমিত্তে কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। চিত্তরঞ্জন দেব ও মনাফ খান অন্য জেলার বাসিন্দা হয়ে মহানগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে স্থান পাওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই আসলের প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

ইতিপূর্বে বিগত ২০১৪ সালে যাচাই-বাছাই’র জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সিলেট মহানগর ইউনিট কমান্ডের ভবতোষ রায় বর্মণ’র নাম ডিও লেটারের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রদান করেন এবং ২০১৫ সালে ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই’র জন্য সিলেট মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি-১ আব্দুল খালিক’র নাম মনোনয়ন দিয়ে অনুরূপ একটি পত্র অর্থমন্ত্রী প্রদান করেন।

দেশব্যাপী আসন্ন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই’র মত অতিব গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে অসৎ একটি চক্র দীর্ঘ দিন থেকে সিলেট মহানগর সহ পুরো সিলেট জুড়ে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে অভিযুক্ত অনেকেই সভাপতি অথবা সদস্য হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন। ব্যক্তিদ্বয়ের নিজ উপজেলায় একই দিনে যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। বিধায় তাদের পক্ষে যাচাই-বাছাই ছেড়ে অন্যত্র কাজ করার কতটুকু সঠিক হবে। যাচাই-বাছাই কমিটিতে একমাত্র ভারতীয় তালিকাভুক্তদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে সঠিক যাচাই-বাছাইয়ে কোন প্রশ্ন থাকবে না।

নেতৃবৃন্দ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া কার্যক্রমকে সঠিক ও প্রশ্নাতীত রাখার স্বার্থে নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি পূর্ণগঠনের জন্য অনুরোধ জানান।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত