সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৬:১৯

দি অপটিমিস্টস এর উদ্যোগে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার বৃত্তি প্রদান

সিলেট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী আতাউর রহমান বলেছেন, শিক্ষার্থীদেরকে পড়ালেখা করে আদর্শ ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। কারণ শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ। দৃঢ় প্রত্যয় এবং বিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পিতা-মাতা এবং শিক্ষকদের প্রতি যথাযথভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। দি অপটিমিস্টস যেভাবে শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে অনুপ্রেরণা এবং সাহস যোগাচ্ছে সেটাকে ভালোভাবে কাজে লাগালেই তাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। দেশের কল্যাণে দি অপটিমিস্টস-এর কাজ সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সাদিপুরস্থ সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙ্গালীদের সংগঠন দি অপটিমিস্টস, সিলেট আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তিপ্রদান (২য় পর্ব) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

দি অপটিমিস্টস সিলেট এর ডিরেক্টর প্রফেসর এম এ মতিনের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এলাইছ মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবির সাবেক রেজিস্ট্রার জামিল আহমদ চৌধুরী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুলতান আহমদ, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি লেখক এম এ মালেক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, কাজী মো. ফয়জুল হক, পূবাল মালাকার, বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অমর্ত্য চক্রবর্তী, সিলেট অগ্রগামী গার্লস হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা হাফিজ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ফারজিনা আক্তার পলি।

উল্লেখ্য, আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙ্গালীদের সংগঠন দি অপটিমিস্টস-এর উদ্যোগে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৭১ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ লক্ষ ৬৯ হাজার পাঁচশত টাকার বৃত্তিপ্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিলেট ডিস্ট্রিক্ট ডিরেক্টর প্রফেসর এম এ মতিন বলেন, ২০০১ সাল থেকে দি অপটিমিস্টস সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাদানের সুযোগে সহায়তা করাসহ তাদেরকে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার প্রেরণা দিয়ে আসছে। সারা বাংলাদেশের ২৬টি জেলায় বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম চালু আছে। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। আজকের এই অনুষ্ঠানের পেছনে যাদের ত্যাগ ও শ্রম জড়িত আছে তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত