স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:০৮

নাসুমকে মারতে উদ্যত হওয়া মুশফিকের শাস্তি

ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপের একটি ম্যাচে সতীর্থ নাসুমের সাথে মারমুখী আচরণের শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুশফিক খেলার মধ্যে নিজ দলের খেলোয়াড়ের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছে বলে দেখা গেছে।

মুশফিকের আচরণে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে। চার ডিমেরিট পয়েন্ট হলে মুশফিককে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হবে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মুশফিককে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছে।

মুশফিকের আচরণ বিসিবির আচরণবিধির লেভেল-১ এ পড়েছে এই ক্ষেত্রে শাস্তি আনুষ্ঠানিক সতর্কতা থেকে শুরু করে ম্যাচ ফির ৫০ শতাং জরিমানা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

মাঠে উপস্থিত আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং মাহফুজুর রহমান এবং তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান এই শাস্তি দেন মুশফিকুর রহিমকে।

মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়ে বলেছে, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে তার সতীর্থ নাসুম আহমেদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। যা বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ (২.৬) মাত্রার অপরাধ। কোডের ৭.৫ ধারা অনুযায়ী মুশফিকের সঙ্গে এক ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে।

বিসিবি জানিয়েছে, যদি চলতি টুর্নামেন্টে মুশফিক চার ডিমেরিট পয়েন্ট পান তাহলে ম্যাচ খেলা থেকে বহিষ্কার হতে পারেন তিনি। এমনকি নিষিদ্ধ করা হতে পারে তাকে।  লেভেল-১ অনুযায়ী, লঙ্ঘন করলে কম পক্ষে আনুষ্ঠানিক সতর্কতা ও সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি’ জরিমানা এবং এক থেকে দুই ডিমেরিট পয়েন্ট প্রদানের বিধান রয়েছে। মুশফিক নিজের দোষ ও শাস্তি মেনে নেয়া কোনও শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, বরিশালের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারে নাসুমকে বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। নাসুমের ছক্কা খাওয়াটা মুশফিক ভালোভাবে হজম করতে পারেননি। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বল কুড়িয়ে আনতে গিয়েছিলেন নাসুম, সঙ্গে মুশফিকও। তখন বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু উত্তেজিত মুশফিক বল হাতে নিয়ে উইকেটে না মেরে প্রথমে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন! একই ঘটনা ১৭তম ওভারেও ঘটান মুশফিক। শফিকুলের বলে আফিফ উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকেই ছুটে যান মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে ছুটছিলেন নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আফিফের ক্যাচ ধরে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত