স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ জুলাই, ২০২১ ০২:০৪

সাকিবের ৯৬, জানেন কতবার?

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ দল। রোববার অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে তিন উইকেটে। ২৪১ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে হারাচ্ছিল উইকেট, কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রেখে সাকিব খেলেছেন ম্যাচ জয়ী ইনিংস। শেষের চার যখন আসলো সাকিবের ব্যাট থেকে তখন তিনি ৯৬ রানে অপরাজিত।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এনিয়ে চার-চারবার সাকিবের ইনিংস থেমেছে ৯৬ রানে। তারচেয়ে বেশি আর কারও ইনিংস থামেনি এই অঙ্কে। অবশ্য একই প্রতিপক্ষের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারেরও আছেন এমন চার-চারটা ৯৬ রানের ইনিংস।

ক্রিকেটে নার্ভাস নাইনটিজ বলে যে কথা আছে সেখানে এই ইনিংসগুলো সাকিবের ইনিংস আছে ৭টি, আর সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংস আছে ১৪টি!

বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের ৯৬ রানের ইনিংসের মধ্যে দুইটাতে জিতেছে বাংলাদেশ, বাকি দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।

রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসের আগের ইনিংস ২০০৯ সালে। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস। ২১৫ রানের লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশ ৬৭ রানেই ৪ উইকেট হারায়। সেখান থেকে সাকিবের সঙ্গে রাকিবুল হাসানের (৬৫) জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানো। সাকিব ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। সেটি যে ছিল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম কোনো টেস্ট সিরিজ জয়!

এছাড়াও সাকিব ৯৬ রানে দুবার আউটও হয়েছেন। সেখানে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত ছিল ম্যাচ হেরে যাওয়ার হতাশা! দুটিই ছিল টেস্টে, দুটি টেস্টই হয়েছে ঢাকায়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিব ৯৬ রানে আউট হয়েছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। জয়ের জন্য ৫২১ রানের লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশ মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরি (১০১), সাকিব আর মুশফিকুর রহিমের (৬১) ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত ৪১৩ রানে অলআউট হয়েছে।

২০১০ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব ৯৬ রানে আউট হন। ২০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত