সিলেটটুডে রিপোর্ট

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২০:৪৩

বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে রনির ২টি ডাবল সেঞ্চুরী

বাংলাদেশের প্রথম কোন ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২টি ডাবল সেঞ্চুরী করলেন রনি তালুকদার । টানা ৩ ম্যাচে ২টি ডাবল আর একটি দেড়শোর্ধ্ব ইনিংস খেলে দারুণ ধারাবাহিকতার প্রমান দিচ্ছে ঢাকা বিভাগের এই ব্যাটসম্যান

বাংলাদেশের প্রথম কোন ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২টি ডাবল সেঞ্চুরী করলেন রনি তালুকদার । টানা ৩ ম্যাচে ২টি ডাবল আর একটি দেড়শোর্ধ্ব ইনিংস খেলে দারুণ ধারাবাহিকতার প্রমান দিচ্ছে ঢাকা বিভাগের এই ব্যাটসম্যান । এবারের জাতীয় লীগে প্রথম ম্যাচে ২২৭ করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন ১৬৫ রানের ইনিংস আর তৃতীয় ম্যাচে খেলে ফেললেন ২০১ রানের আরেকটি ম্যারাথন ইনিংস । সোমবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫১৮ রান তোলে ঢাকা।
রনি ২০১ রান করে আউট হন। এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে রনির এটা দ্বিতীয় দ্বিশতক। আর মজিদ করেন ১১৩ রান। উদ্বোধনী জুটিতে রনি ও মজিদ ৩০৪ রান করেন।রনি তার ২৪০ বলের ইনিংসটি সাজান ২২টি চার ও ৭টি ছয়ে। ২৪৮ বলের ইনিংসে মজিদ মারেন ১৭টি চার।

 

ঢাকা মেট্রো-বরিশাল
সোমবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বরিশালের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৪১ রান। প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর চেয়ে এখনো ২৫৯ রানে পিছিয়ে বরিশাল।
নাফীস ৭৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গী সাইফ হাসানের রান ৫৫। ১০৬ বলের ইনিংসটিতে ১১টি চার ও একটি ছয় মারেন নাফীস। সাইফ তার ১৩০ বলের ইনিংসটি সাজান ১০টি চার ও একটি ছয়ে।এর আগে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ৪০০ রান করে ঢাকা মেট্রো।
৪ উইকেটে ২৩৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ঢাকা মেট্রো। ১১৮ রানে অপরাজিত থাকা সাদমান ১৪০ রান করে আউট হন। ৩০১ বলের ইনিংসটিতে ২৬টি চার ও একটি ছয় মারেন তিনি।৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা আসিফ আহমেদ করেন ৮৬ রান। ১৪৪ বলের ইনিংসটি ১০টি চারে সাজান তিনি।
বরিশালের পক্ষে ৪৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন আল-আমিন জুনিয়র। দুটি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
রাজশাহী বিভাগের বড় সংগ্রহের জবাবে ধুঁকছে সিলেট বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ৩৮৬ রানে পিছিয়ে আছে তারা।

রাজশাহী-সিলেট
জাতীয় লিগের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সিলেটের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৬ রান। আউট হয়ে গেছেন ইমতিয়াজ হোসেন, এজাজ আহমেদ, রাহতুল ফেরদৌস ও রাজিন সালেহ।
২৮ রান নিয়ে উইকেটে আছেন অলক কাপালি। তার সঙ্গী রোমান আহমেদের রান ৬।
রাজশাহীর সাকলাইন সজীব ৪৯ রানে ২ উইকেট নেন।
অলআউট হওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান করে রাজশাহী। ২ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিন আর ১৬৬ রান তুলতে পারে তারা।
আগের দিনের ১০২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা জুনায়েদ আউট হন ১১২ রানে। ২০৫ বলের ইনিংসটি ১১টি চারে সাজান তিনি। ৮টি চার ও একটি ছয়ে ৮৭ রান করেন ফরহাদ হোসেন।
সিলেটের পক্ষে এনামুল হক জুনিয়র ১৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।

রংপুর- খুলনা

ভালো বোলিং করে প্রথম ইনিংসে রংপুর বিভাগকে লিড এনে দিয়েছেন মাহামুদুল হাসান। ৯৩ রানে এগিয়ে আছে তারা।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। এর আগে রংপুর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান করে।আগের দিনের ৬ উইকেটে ২৬১ রান নিয়ে খেলতে নেমে বাকি চার উইকেট হারানের আগে আর ৪৯ রানই তুলতে পারে রংপুর। আগের দিন ৪২ রানে অপরাজিত থাকা আরিফুল ইসলাম ৬৮ রান করেন।শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা খুলনা দুইশ' রান পেরোতে পারে মূলত ইমরুল কায়েসের কল্যাণে। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ১৪৯ বলে ৯৪ রান করেন। ইনিংসটি তিনি সাজান ১৩টি চার ও একটি ছয়ে। ৭৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন অফস্পিনার মাহামুদুল। সঞ্জীব সাহা ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত