০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:০৩
প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের পাহাড় গড়ার পর বাংলাদেশকে ১৭৮ রানে অলআউট করেছে শ্রীলঙ্কা।
স্বাগতিকদের ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাটিং করেছে। লঙ্কানরা আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৪৫৫ রানে এগিয়ে থেকে। সফরকারীরা হারিয়েছে ৬ উইকেট, যার মধ্যে বাংলাদেশের অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ নেন ৪ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ রানেই ভেঙে যায় শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে হাসান মাহমুদকে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ডিমুথ করুণারত্নে। করুণারত্নে করেন ৫ বলে ৪ রান। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা কুশল মেন্ডিস (২ রান) আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে খালেদ আহমেদের ফুল লেংথ বল ড্রাইভ করতে যান মেন্ডিস। ইনসাইড এজ হয়ে বল লেগে যায় স্টাম্পে।
১৫ রানে ২ উইকেট পড়া শ্রীলঙ্কার স্কোর হতে পারত ৩ উইকেটে ৩৪ রান। তবে সেটা হয়নি বাংলাদেশের ফিল্ডিং ব্যর্থতায়। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে হাসানের বল ডিফেন্স করতে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এজ হওয়া বল প্রথম স্লিপে শাহাদাত হোসেন দীপুর হাতে পৌঁছলেও সেটা তালুবন্দী করতে পারেননি। ম্যাথুসের রান তখন ৭। লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেট পড়েছে দলীয় ৬০ রানে। ১৩ তম ওভারের তৃতীয় বলে হাসানকে পয়েন্ট দিয়ে কাট করতে যান নিশান মাদুশকা। তবে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৫ বলে ৫ চারে ৩৪ রান করেছেন মাদুশকা। তৃতীয় উইকেটে ৬০ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন মাদুশকা ও ম্যাথুস।
একপ্রান্তে আগলে খেলতে থাকা ম্যাথুস দেখছেন সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল। বলতে গেলে হাসান একাই নাচাচ্ছেন শ্রীলঙ্কাকে। লঙ্কান ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটাই এখানে দায়ী। ১৫ তম ওভারের তৃতীয় বলে হাসানকে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন দিনেশ চান্দিমাল। পরের বলে কাট করতে যান চান্দিমাল। এজ হওয়া বল এবার প্রথম স্লিপে তালুবন্দী করেন দীপু। ৭ বলে ২ চারে ৯ রান করেন চান্দিমাল। এক ওভার বিরতিতে এসে হাসান এবার ফেরান লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে। ধনাঞ্জয়া খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দি হয়েছেন। লঙ্কান অধিনায়ক ১ রান করে আউট হলে শ্রীলঙ্কার স্কোর হয়ে যায় ১৬.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৭৮ রান।
শ্রীলঙ্কার অর্ধেক ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফেরার পর সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন কামিন্দু মেন্ডিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেন কামিন্দু।
আপনার মন্তব্য