
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:১৫
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশ না হলেও অতিথি দল হিসেবে কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছিল কানাডা। দলটি পৌঁছেছিল সেমিফাইনালেও। সেখানে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
খেলার ফলাফল নিয়ে কোন আপত্তি নাই কানাডার কোচ জেসে মার্শের। তবে তিনি বলছেন, লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠত্বের এই প্রতিযোগিতার আয়োজনে দেখেছে অপেশাদারত্বের ছাপ। দেখছেন, আয়োজকদের দুর্বলতা। রেফারিংয়ের মানও আশানুরূপ নয় বলে তার মন্তব্য।
টুর্নামেন্ট জুড়ে বাজে রেফারিং নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে মহাদেশীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। গ্রুপ পর্যায়ে ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচে স্পষ্ট পেনাল্টি থেকে ব্রাজিলকে বঞ্চিত করে আর্জেন্টাইন রেফারি। এনিয়ে কনমেবল ক্ষমাও চেয়েছে। কলম্বিয়া-উরুগুয়ের সেমিফাইনাল ম্যাচ শেষে হয়েছে খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যেও মারামারি।
সব মিলিয়ে কানাডার কোচ বলছেন, কোপা আমেরিকায় তাদের সঙ্গে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো’ আচরণ করা হয়েছে।
কেবল কানাডার কোচই নন, উরুগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসা সমালোচনা করেছেন আয়োজকদের। বলেছেন, মা–বোন–সন্তানদের সুরক্ষার জন্যই খেলোয়াড়দের এগিয়ে যেতে হয়েছে। পাশাপাশি কলম্বিয়ার সমর্থকদের ক্ষমাও চাইতে বলেছেন তিনি।
মারামরির ঘটনা নিয়ে বিয়েলসা বলেছেন, ‘আপনি কীভাবে মা, বোন কিংবা সন্তানকে রক্ষা না করে থাকবেন? যদি তারা তা না করত, তবে আমরা সবাই তাদের নিন্দা করতাম।’ এ ঘটনায় সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কথা বলেছেন আর্জেন্টাইন এ কোচ, ‘নিষেধাজ্ঞা ফুটবলারদের বিরুদ্ধে নয়, বরং যারা এমনটা করতে বাধ্য করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। এটা অপমানজনক।’ এ সময় কলম্বিয়ান দর্শকদের ক্ষমাও চাইতে বলেন তিনি।
বিয়েলসার মন্তব্য নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল কানাডার কোচ জেসে মার্শের কাছেও। তিনি বলেছেন, ‘আমি তার (বিয়েলসা) মন্তব্যগুলো দেখেছি। সবগুলো দেখিনি, কিছু কিছু দেখেছি। কিছু বিষয়ে আমি তার সঙ্গে একমত, আবার কিছু বিষয়ে দ্বিমত। এই টুর্নামেন্টটি আমার কাছে পেশাদার মনে হয়নি। এটির আয়োজনে অনেক সমস্যা আছে।’
উরুগুয়ে–কলম্বিয়া ম্যাচের ঘটনা নিয়ে মার্শ বলেন, ‘ম্যাচের পর কী হয়েছে, তা আমি দেখেছি। আমরা কেউ খেলোয়াড়দের পরিবারকে এমন পরিস্থিতিতে দেখতে চাই না।’
কোপায় তারা নিজেরাও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে মার্শ বলেছেন, ‘আমরাও বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছি। টুর্নামেন্টজুড়ে সরাসরি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এটা দেখেছি। আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়েছে।’
এ সময় টুর্নামেন্টে রেফারিংয়ের মান নিয়েও সমালোচনা করেন মার্শ। এমন বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে কানাডার সেমিফাইনালে উঠতে পারাকে অলৌকিক কিছু বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এটুকুতেই সন্তুষ্ট নন মার্শ। জিততে চান তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ, ‘আমরা জানি যে অনেক কিছু আমাদের বিপক্ষে থাকবে, কিন্তু কানাডিয়ানদের জন্য এই ম্যাচের গুরুত্ব আমরা জানি। সেভাবেই আমরা নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করব।’
আপনার মন্তব্য