স্পোর্টস ডেস্ক

০৫ অক্টোবর, ২০১৬ ১০:২৭

বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফির আজ জন্মদিন

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার আজ (৫ অক্টোবর)  ৩৪তম জন্মদিন। কাকতালীয়ভাবে তার ছেলে সাহেলেরও আজ জন্মদিন।

৩৩ পেরিয়ে ৩৪ বছরে পা রাখা মাশরাফি ১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে নড়াইলে জন্মগ্রহন করেন। নড়াইলে সবার কাছে কৌশিক ডাকনামে পরিচিত এই তারকার দুরন্ত শৈশব ও কৈশর পার হয় চিত্রা নদীর অদ্ভুত সুন্দর মায়াবী পরিবেশে। শৈশব থেকে দুরন্ত কৌশিক ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে সব ধরনের খেলায় বাজিমাত করতেন।

সারাক্ষণ মেতে থাকতেন বন্ধুদের নিয়ে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন ক্রিকেট খেলতে। বাকি সময়টা চলতো ব্যাডমিন্টন আর চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে। এভাবেই একদিন সুযোগ পেয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেখান থেকেই তিনি চোখে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। তার হাতে পড়েই ক্যারিয়ার বদলে যায় মাশরাফির। যে কারণে, তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই টেস্টে অভিষিক্ত হন।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর শুরু হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। বৃষ্টিবিঘ্নিত হওয়ার কারণে বোলিং করার সুযোগ পেলেন মাত্র এক ইনিংসে, ৩৬ ওভার। একই বছর ২৩ নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক হয় ফাহিম মুনতাসির ও তুষার ইমরানের সঙ্গে। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সঙ্গে বোলিং ওপেন করে তিনি ৮.২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটেই গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ছিলেন মাশরাফির প্রথম শিকার! সেই যে শুরু পথচলা, এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৫টি বছর পার করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের।

তবে ১৫ বছর মোটেও নির্বিঘ্নে খেলতে পারেননি এই তারকা। বারবার ইনজুরিতে পড়ে হারিয়ে গেছে অনেক সোনালী সময়। ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত ২০১১ বিশ্বকাপও। তার দুই হাঁটুতে ৬ বার অস্ত্রোপচার হয়। এত ধকল সয়ে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার নজির বিশ্ব ক্রিকেটে আর নেই।

২০০৬ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে মাশরাফি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলার। তিনি ওই বছর নিয়েছিলেন ৪৯ উইকেট। ওয়ানডেতে ২০৮ উইকেট নিয়ে মাশরাফি বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ইনজুরি তার টেস্ট ক্যারিয়ার দীর্ঘ হতে দেয়নি। মাত্র ৩৬ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৭৮ উইকেট। নিয়মিত খেলতে পারলে দুই ফরম্যাটেই তিন শতাধীক উইকেট পাওয়া সময়ের ব্যাপার ছিল তার জন্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত