স্পোর্টস ডেস্ক

০৫ অক্টোবর, ২০১৬ ২২:০২

সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ‘সক্ষম’দের ক্রিকেট দলে ‘প্রতিবন্ধী’ শ্রদ্ধা

জন্ম থেকেই সে মূক ও বধির। মুখে কথা বলতে পারে না। কিন্তু তার হয়ে কথা বলে ক্রিকেট। ক্রিকেটই হলো তার ভাষা।

দুর্দান্ত বোলিংকে হাতিয়ার করে ভারতের ছত্তিশগড় মহিলা ক্রিকেট দলে জায়গা করে নিয়েছেন মূক ও বধির নারী ক্রিকেটার শ্রদ্ধা বৈষ্ণব। শ্রদ্ধাই ভারতের প্রথম নারী প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার, যিনি একটি নিয়মিত নারী ক্রিকেট দলের সদস্য।

ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর শহরের মেয়ে শ্রদ্ধা জন্ম থেকেই মূক ও বধির। ভালোবাসেন ক্রিকেট। মেয়ের ক্রিকেট-প্রেম দেখে বাবা রমেশ বৈষ্ণব শ্রদ্ধাকে ভর্তি করিয়ে দেন স্থানীয় ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে।

রমেশ জানান, “তখন শ্রদ্ধার বয়স ১৩। ভাইয়ের সঙ্গে ক্রিকেট দেখত খুব। একদিন আমায় ইশারায় জানাল, সে বল করতে চায়। আমি তাকে স্থানীয় একটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দিলাম। কয়েক মাসের মধ্যেই শ্রদ্ধা হয়ে উঠল দুর্দান্ত স্পিনার।”

ধীরে ধীরে মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও নিজের প্রতিভা দেখাতে শুরু করে শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধার কোচ মোহন সিং ঠাকুরের ভাষায়, “প্রতিবন্ধকতাকেই শক্তি বানিয়ে ফেলেছে। ও শুরু করেছিল স্পিনার হিসেবে, এখন দারুণ ফাস্ট বোলার।”

ছত্তিশগড় মহিলা ক্রিকেট দলে এখন সবচেয়ে ভালো বোলারের তকমা পেয়ে গেছেন শ্রদ্ধা। ছত্তিশগড় স্টেট ক্রিকেট-এর প্রেসিডেন্ট বলদেও সিং বলেন, “প্রথম প্রথম বক্তব্য বুঝতে অন্যান্য প্লেয়ারদের একটু অসুবিধে হচ্ছিল। শ্রদ্ধারও অসুবিধে হত। কিন্তু এখন মাঠে ওর বল-ই কথা বলে।”

এর আগে ভারতের প্রথম প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার হিসেবে বিহারের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলেছিলেন অঞ্জন ভট্টাচার্য। ১৯৭০ সালে রঞ্জিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ২৪ রান দিয়ে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন অঞ্জন।

সূত্রঃ এই সময়

আপনার মন্তব্য

আলোচিত