একুশ তাপাদার

২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ১২:০৪

ফের আক্ষেপের গল্প তবুও সাবাশ বাংলাদেশ

আরেকটি আক্ষেপের হার। আবার তীরে এসে তরী ডোবার গল্প। মুলতান, ফতুল্লার পর চট্টগ্রাম। পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার পর ইংল্যান্ড। ২০০৩, ২০০৬ সালের পর ২০১৬। একটুর জন্য হেরে যাওয়া এসব ম্যাচে জয় পেলে অনেকটাই বদলে যেত বাংলাদেশের ক্রিকেট।

তবে
এবার হারলেও টেস্টে বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত ঠিকই দেখা মিলছে বাংলাদেশে ক্রিকেটে। ১৪ মাস পর টেস্টে খেলতে নেমে টেস্টের অন্যতম শক্তিশালী দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেই যাচ্ছিল বাংলাদেশ। এই ১৪ মাসে বাংলাদেশ যেখানে একটাও টেস্ট খেলেতে পারেনি, ইংল্যান্ড খেলেছে ১৬টি।

চট্টগ্রামের টার্নিং পিচে শেষ ইনিংসে জিততে হলে করত হত ২৮৬ রান। আমরা  ২৬৩তে গিয়ে থেমেছি। চতুর্থ ইনিংসে এত রাত তাড়া করে জেতার রেকর্ড এখনো পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২২২৫  টেস্টের ইতিহাসে   ঘটেছে মাত্র ৩৪ বার। উপমহাদেশে সেটা মাত্র ৩ বার আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫ বার। এসব তথ্যই বলে দেয় কতটা কঠিন ছিল আসলে টার্গেট। পিচ বিবেচনায় এই ২৮৬ রান আসলে ছিল ৪০০ রানের সমতুল্য।  তবে এসব প্রতিকূলতা পার করে বাংলাদেশের জেতার সামর্থ্য ছিল এবং জেতার মতই অবস্থায় ছিল দল।

অনেক আক্ষেপ আসতে পারে। কেন দুই নির্বিষ পেসার একাদশে নেয়া হল, কেন সাকিব ওভাবে আউট হলেন প্রথম ইনিংসে, কেন সাব্বির টেল এন্ডারদের আগলে রাখলেন না। তবে সব আক্ষেপের প্রশ্নের পরেও বলতে হচ্ছে সাবাশ বাংলাদেশ। এত দীর্ঘ সময় পর টেস্ট খেলতে নামা। মোস্তাফিজসহ দলের মূল পেসারদের অনুপস্থিতি। তিন ক্রিকেটারের অভিষেক।  এতসব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সমান তালে বাংলাদেশ লড়বে সপ্তাহ খানেক আগেই কে ভেবেছিল!

চট্টগ্রাম টেস্ট আক্ষেপের আরেক গল্প তবে এই গল্প থেকেই প্রেরণা নিয়ে শুরু হতে পারে নতুন যাত্রা। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত শক্তি। চট্টগ্রাম টেস্টের ফলাফল বাদ দিয়ে বাকি চিত্রগুলো দীর্ঘ পরিসরে নতুন দিনের শুরুর জ্বালানি হতে পারে। বিসিবি যদি আইসিসিতে দর কষাকষি করে আরও কিছু টেস্ট খেলার সুযোগ করে নিতে পারে আগামী ৫ বছরের মধ্যেই টেস্টেও শক্তিশালী দল হবে বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত