শাকিলা ববি, হবিগঞ্জ

২৭ জুন, ২০১৭ ২৩:৪৪

প্রীতি ফুটবলে হবিগঞ্জের বিবাহিতদের কাছে হারলেন অবিবাহিতরা

মাঠের এক প্রান্তে তারুণ্যে ভরপুর একটি দল আর অপর প্রান্তে মেদভুরিতে ভরপুর আরেকটু বেশি বয়সী যুবকদের আরেকটি দল ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পরস্পরের। 'বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ' নামে এমন এক মজাদার ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে হবিগঞ্জে।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকাল ৫টায় শহরতলীর জালালাবাদ গ্রামের জালালাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিবাহিত ও অবিবাহিতদের মধ্যে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

নিয়মানুযায়ী দুই দলের খেলোয়াড়দের করমর্দন শেষে রেফারি আব্দুল হামিদের বাশিঁতে শুরু হয় খেলা। খেলার শুরুতেই লাল জার্সি পরে মাঠের দক্ষিন প্রান্ত থেকে আক্রমণাত্মক খেলেন অবিবাহিত দলের খেলোয়াড়রা। অপরদিকে, হলুদ জার্সি পরে মাঠের উত্তর প্রান্ত দিয়ে অনেকটা ধীর গতিতে খেলেন বিবাহিত দলের খেলোয়াড়রা। গতবছর যে খেলোয়াড় অবিবাহিত দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এ বছর বিয়ের সুবাদে সেই খেলোয়াড় খেলেন বিবাহিত দলের জুনিয়র খেলোয়ার হিসেবে। ধীরগতিতে খেললেও শেষ পর্যন্ত জয়ের স্বাদ গ্রহন করেন বিবাহিত দলের খেলোয়াড়রাই।

টানটান উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় বিবাহিত দল ৩-২ গোলে অবিবাহিত দলকে পরাজিত করে। বিবাহিত দলের পক্ষে গোল করেন মোক্তাদির হোসেন, সৈয়দ আশিকুর রহমান ও আব্দুল কাদের জুয়েল। অবিবাহিত দলের পক্ষে গোল করেন এসআই আজিজুর রহমান রাসেল ও পাবেল খান চৌধুরী।

ম্যাচ শেষে বিবাহিত দলের গোলদাতা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, "আমি খুবই আনন্দিত। অনেক বছর পরে খেলেও যে আজ গোল করতে পেরেছি, আমি তাতেই খুশি।"

মৌলভিবাজার জেলার কমলগঞ্জে কর্মরত অবিবাহিত দলের খেলোয়াড় পুলিশের এসআই আজিজুর রহমান রাসেল বলেন, "খুব উপভোগ করেছি আজকের খেলা। কারণ, আমার প্রতিপক্ষ যারা, তারা অনেকেই আমার সদ্য বিবাহিত বন্ধু । তবে ভাল লাগার বড় অংশটি হলো, বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাই, বন্ধু, বড় ভাইরা একত্রিত হয়ে খেলায় অংশগ্রহন করেছেন।"

অবিবাহিত হয়েও বিবাহিতদের দলে খেলা শেখ ওসমান গনি রুমি বলেন, "অভিজ্ঞতাটা ভুলবার মতো না, কারণ অবিবাহিত হয়েও বিবাহিতদের দলে খেলেছি। নিয়মিত খেলাধুলা না করায় বেশ উত্তেজিত ছিলাম। চর্চা না থাকায় ভুল বশত নিজের দলকে একটা গোল হজম করিয়েছি। তা না হলে খেলায় আমরা বিবাহিত দল আরও ভাল ব্যবধানে জিততে পারতাম।"

খোয়াই থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন খান বিবাহিত দলের ও সাহিত্যিক সিদ্দিকী হারুন অবিবাহিত দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন সাইফুর রহমান চৌধুরী পাপলু। খেলা শেষে খাসি জবাই করে ভুরিভোজ করেন উভয় দলের খেলোয়াড়রা।

ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে বিবাহিত দলের হয়ে খেলেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম শাকিল, আব্দুল হালিম, মোঃ হেমসিন, সৈয়দ আশিকুর রহমান, ফরহাদ চৌধুরী. মোক্তাদির হোসেন, তানবির আরজু তমাল, রাজিব দাস, প্রমথ সরকার, শেখ ওসমান গনি রুমি ও ফারাবি চৌধুরী।

আজিজুল হক চৌধুরী মোনায়েমের নেতৃত্বে অবিবাহিত দলের খেলোয়াড়রা হলেন, আজিজুর রহমান রাসেল, জোবায়েদ হোসেন, পাবেল খান চৌধুরী, লাভলু দাস, রাজন দাস, সুকান্ত গোপ, মুহিত চৌধুরী, কাজল দাস, লিটন দাস প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত