স্পোর্টস ডেস্ক

১১ জুলাই, ২০১৭ ১৮:২৯

উইম্বলডন থেকে নাদালের বিদায়

ম্যাচ শেষে নিজের হতাশাটা কিছুতেই লুকাতে পারছিলেন না রাফায়েল নাদাল। কিছুদিন আগেই ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে ফুরফুরে মেজাজ আর দারুণ ফর্ম নিয়ে উইম্বলডনে খেলতে নেমেছিলেন। শেষবার শিরোপা জিতেছেন সাত বছর আগে—এবার সাত বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করার যথেষ্ট সুযোগই তাঁর ছিল। চতুর্থ রাউন্ডে উঠেই স্বপ্নভঙ্গ। আশাভঙ্গ। লুক্সেমবার্গের জাইলস মুলার ‘পাগুলে সোমবার’ নামটার সার্থকতা প্রমাণ করলেন নাদালকে দারুণ এক লড়াইয়ে হারিয়ে।

লড়াইটা হয়েছে পাঁচ ঘণ্টার। রূপকথার লড়াইই। পাঁচ সেটের এই লড়াইয়ে নাদাল হেরে গেলেন ৩-৬, ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪ ও ১৩-১৫-এ।

ফরাসি ওপেন থেকে কোনো সেট হারেননি নাদাল। কিন্তু মুলারের বিপক্ষে শুরু থেকেই কেন যেন ঠিক নিজের মধ্যে রইলেন না এই স্প্যানিশ তারকা। প্রথমেই পিছিয়ে যান দুই সেটে। পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে নিয়ে পরের দুই সেটে জয় পেয়ে ম্যাচে ফিরলেও পঞ্চম সেটটা আর জিততে পারলেন না। শেষ সেটে মুলার নাদালকে চাপে ফেলেন সার্ভিস ব্রেক করার কোনো সুযোগ না দিয়ে।

২০০৫ সালের উইম্বলডনেও নাদালকে হারিয়ে দিয়েছিলেন মুলার। সেবার লুক্সেমবার্গের তারকার এসগুলো সামলাতে যথেষ্ট সমস্যা হয়েছিল নাদালের। এবারের উইম্বলডনেও একই অবস্থা। গোটা ম্যাচেই দীর্ঘদেহী মুলারের এসগুলো যেন ভারী গোলার মতো মনে হয়েছে নাদালের।

ম্যাচ হারার পর নাদালের মনে হয়েছে একটা সুযোগ হারিয়েছেন তিনি, ‘আমি সুযোগ হারিয়েছি। মুলার কিন্তু এই ম্যাচে অনেক ভুল করেছে। আমি সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’

তবে ম্যাচে মুলারের আগ্রাসী মনোভাবের প্রশংসাও করেছেন নাদাল, ‘এটা সত্যি, পঞ্চম সেটের বেশির ভাগ সময়জুড়ে মুলার আমার চেয়ে অনেক ভালো করেছে। সে অনেক আগ্রাসীও ছিল। এই ম্যাচে আমার সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হয়েছে বেশির ভাগ সময়ই আমাকে পয়েন্টের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। পঞ্চম সেটে এটার পরিমাণ অনেক বেশিই। এমন অবস্থায় বেশির ভাগ সময় থাকলে ম্যাচটা হারতে হয়, আমার ক্ষেত্রে সেটিই হয়েছে।’

নিজের হতাশার কথাটা সোজাসাপটাই জানিয়ে দিয়েছেন নাদাল, ‘এই ফল আমি প্রত্যাশা করিনি। অন্য বছরগুলোর তুলনায় কিন্তু আমি যথেষ্ট ভালো খেলেছি। আমি দারুণ কিছুর আশায় ছিলাম। বলতে পারেন, এটি বিরাট বড় এক সুযোগের অপচয়ই।’
সূত্র: রয়টার্স

আপনার মন্তব্য

আলোচিত