স্পোর্টস ডেস্ক

১৪ জুলাই, ২০১৭ ১৭:০০

চোটের কারণে বাংলাদেশ সফরের দলে নেই স্টার্ক!

‘যদি’, ‘কিন্তু’র ওপর ঝুলে আছে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর। নতুন আর্থিক কাঠামো নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে সমঝোতা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। বোর্ডের সঙ্গে নতুন চুক্তি হয়নি তাঁদের। ২৩০ জনের মতো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার বেকার হয়ে পড়েছেন ১ জুলাই থেকে। চলমান সংকটে এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। অনিশ্চয়তা ঘিরে আছে আগামী মাসের বাংলাদেশ সফরকেও।

শেষ পর্যন্ত সব ঝামেলা মিটে গিয়ে বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত হলেও নতুন মাথাব্যথা শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকদের। বাংলাদেশ সফরের জন্য ১৩ সদস্যের দল এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে সিএ। বাকি ছিল একটি স্থান। বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার ১৪তম সদস্য কে হবেন, সেটি নিয়েই ভাবতে হবে নির্বাচকদের। চোটের কারণে বাংলাদেশ সফরের দলে নেই ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। তাঁর বিকল্প খুঁজতে ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা। ওই সফরের দলে থাকা চার পেসার জ্যাকসন বার্ড, চ্যাড সেয়ার্স, জেসন বেরেনডফ, ক্রিস ট্রেমেইন ও লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসনের পারফরম্যান্স বিচার করতে চেয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হনস। তা আর হলো কই!

দল নির্বাচন পরের কথা, বিরোধ নিষ্পত্তিরই কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। পরশু সিএর চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন ক্রিকেটারদের। দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় নিজের কলামে পিভার লিখেছেন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) ‘হঠকারী’ কৌশলের কারণেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। চুপচাপ বসে থাকেনি এসিএ, ক্রিকেটারদের সংগঠন পাল্টা পিভারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।

পিভার একসময় রিও টিন্টো নামের এক খনি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকেও একই কায়দায় চালাতে চাইছেন, এই অভিযোগ ওঠাতেই বেশি খেপেছেন পিভার। এ ছাড়া পিভার দাবি করেছেন এসিএ স্পনসরদের দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, নিরুৎসাহিত করছে সম্প্রচার সংস্থাগুলোকে।

পিভারের দাবি, নতুন আর্থিক কাঠামো নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির কারণেই এই সংকট, ‘সিএ যে প্রস্তাব দিয়েছে যেকোনো বিচারেই সেটি খুব উদার। কিন্তু এসিএ শুধু প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানই করেনি, বাজে প্রচারণাও চালাচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই হয়েছে যে অনেকেই ভাবছেন বেতন বাড়ানোর পরিবর্তে সিএ দাস ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে এনেছে।’

এসিএ কী কী ভুল করছে তা-ও বলে দিয়েছেন পিভার, ‘খেলোয়াড়দের সফরে যেতে না দেওয়া, স্পনসরদের সরে যেতে হুমকি দেওয়া, সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানকে নিরুৎসাহিত করা, খেলোয়াড়দের মেধাস্বত্ব নিজেদের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো, নিজেরা খেলার আয়োজন করা। এসব হঠকারী পরিকল্পনা শুধু খেলাটারই ক্ষতি করবে।’

পিভারের এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এসিএ বলেছে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করছে তারা।
সূত্র: এএফপি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

আপনার মন্তব্য

আলোচিত