স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৭ ১৭:১৭

ভেনাসের সামনে রেকর্ডের হাতছানি

রেকর্ড কে হাতছাড়া করতে চায়? তবে আজ চাইতে পারেন সেরেনা উইলিয়ামস! এ বছর যখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন, তাঁর বয়স ছিল ৩৫ বছর ৪ মাস ২ দিন। উন্মুক্ত যুগে বেশি বয়সে গ্র্যান্ড স্লাম জয়। মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাকে ছাড়িয়ে গত বছরই রেকর্ডটা গড়েছিলেন সেরেনা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে সেটিকে নিয়ে যান নতুন উচ্চতায়।

সেরেনার সেই রেকর্ডটি আজ হুমকির মুখে। কিন্তু সেটি ভেঙে গেলে সেরেনা কম খুশি হবেন না। রেকর্ডটি যে হারাবেন বড় বোন ভেনাসের কাছে! ২০০৮ সালে সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন ভেনাস। দীর্ঘ নয় বছর পর বড় বোনের হাতে আরেকটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা উঠুক, ছোট বোন হিসেবে এটা মনেপ্রাণেই চাইছেন সেরেনা, ‘আমার বিশ্বাস, ভেনাসই এটি জিতবে। আমি জানি, ওরও এমনই বিশ্বাস। এ মুহূর্তটির জন্য আমাদের অনেক ত্যাগ আছে। এখন সময়টা এসেছে। আমি তার জন্য সত্যিই উচ্ছ্বসিত। তাকে নিয়ে গর্বিত।’

আজ জিতলে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন হবেন ৩৭ বছর ২৯ দিন বয়সী ভেনাস।

২৩ বছর বয়সী গারবিনিয়ে মুগুরুজা ফাইনালে ভেনাসের প্রতিপক্ষ। র‍্যাঙ্কিং-অভিজ্ঞতা আর বাজিকরদের বাজির দর—সবকিছুতেই এগিয়ে ভেনাস। মুগুরুজার এটি যেখানে দ্বিতীয় উইম্বলডন ফাইনাল, সেখানে ভেনাস টুর্নামেন্টই জিতেছেন পাঁচবার। র‍্যাঙ্কিংয়ে মুগুরুজার (১৫) চেয়ে চার ধাপ এগিয়ে ভেনাস (১১)। আছেন দারুণ ছন্দেও। গত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল খেলার পর এবার উইম্বলডনের ফাইনালে উঠই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বয়স তাঁর কাছে স্রেফ একটা সংখ্যা। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে ভেনাস হারিয়েছেন ইয়েলেনা ওস্তাপেঙ্কো ও দর্শকপ্রিয় জোহানা কন্তার মতো প্রতিপক্ষকে। এই বয়সেও তাঁর এমন ফর্মের রহস্য কী? ‘সব সময় নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়ে খেলা যায় না। কিন্তু কোর্টে নামলে সেরাটা খেলারই চেষ্টা থাকে। আর এটাই করে এসেছি আমি’—বলেছেন ভেনাস।

মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে ভেনাস। চারবারের সাক্ষাতে তিনবারই জিতেছেন। তবে মুগুরুজা প্রেরণা খুঁজে নিতে পারেন সর্বশেষ লড়াই থেকে। এ বছরই রোম মাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ৬-২, ৩-৬, ৬-২ গেমে হারিয়ে দিয়েছিলেন ভেনাসকে।

আজ ফাইনালেও হারিয়ে দিতে চাইবেন মুগুরুজা। আর এর জন্য তাঁর প্রেরণা হয়ে আছেন কনচিতা মার্টিনেজ! স্ত্রী সন্তানসম্ভবা বলে নিয়মিত কোচ স্যাম সুমিক মুগুরুজার সঙ্গে উইম্বলডনে আসতে পারেননি। স্বদেশীর এমন ‘বিপদে’ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সাবেক স্প্যানিশ তারকা মার্টিনেজ। টুর্নামেন্টে তিনি মুগুরুজার পরামর্শক কোচ, উজ্জীবনী শক্তিও। মুগুরুজার ভাষায়, ‘চাপ কীভাবে সামলাতে হয়, সে ব্যাপারে তাঁর কাছ থেকে উপকৃতই হচ্ছি। এটা একটা লম্বা টুর্নামেন্ট। প্রস্তুতি নেওয়া, অনুশীলন কিংবা পরিস্থিতি অনুযায়ী কী করতে হবে সেটি তিনি জানেন। আমার খেলার ধরন যা ছিল, সেটাই আছে। তবে তাঁর মতো বিজয়ী একজনকে পাওয়াটা কিছুটা হলেও আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’

এই বাড়তি আত্মবিশ্বাস আজ কাজে আসবে মুগুরুজার?
সূত্র: এএফপি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত