স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ জুলাই, ২০১৭ ১৬:০৫

ঘাম ঝরানোয় উদরপূর্তিও হচ্ছে বেশ!

টানা তিন মৌসুম কোনো শিরোপা জেতা হয়নি। তাই এবার প্রাক-মৌসুমে প্রচুর ঘাম ঝরাচ্ছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর ঘাম ঝরানোর কাজটাও তো বেশ ক্লান্তিকর ব্যাপার। প্রচুর শক্তি ব্যয় হয়। সে ঘাটতি অবশ্য অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড়েরা ভালোভাবেই পূরণ করে নিচ্ছেন। সত্যি কথা হলো, আঁতোয়ান গ্রিজমান কিংবা ওবলাকরা যে পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন, সেটা চমকে দেবে সবাইকে।

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, গত ১৪ দিনে কোন রুটিনে চলেছেন অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড়েরা। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা, নাশতা, জিম, অনুশীলন, মধ্যাহ্নভোজ; হালকা আড্ডা, আবারও জিম, আবার একটু খাওয়াদাওয়া, একটু বিশ্রাম, হালকা নাশতা, আবার হালকা আড্ডা। আবারও অনুশীলন, শরীর দলাইমলাই, রাতের খাবার, একটু বিনোদন, এরপর ঘুমাতে যাওয়া।

কঠিন রুটিন! তো এ কঠিন রুটিনে খেলোয়াড়দের চাঙা রাখার সব ব্যবস্থাই করছে ক্লাব। আক্ষরিক অর্থেই টনকে টন খাদ্য গিলেছে পুরো দল!

সবাইকে স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার খাওয়ানোর প্রতিজ্ঞায় ফল এসেছে সবার আগে। কোন ফল নেই এ তালিকায়? তরমুজ, বাঙ্গি, আপেল, কলা, আনারস, স্ট্রবেরি, আঙুর, কমলা। ১৪ দিনে খুব বেশি নয়, ‘মাত্র’ ২ হাজার ৫০০ কেজি ফল শেষ করেছেন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা। সবজিও ছিল মূল খাবারের অংশ। লেটুস, টমেটো, গাজর, আলু, বেগুন আর পালং শাক ছিল মেন্যুতে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ১০০ কেজি সবজি গলাধঃকরণ করেছেন গাবি, কোকে, তোরেসরা।

তাই বলে মাছ-মাংস যে বাদ পড়েছে, তা-ও নয়। ৫০৩ কেজি মুরগি, ২৬০ কেজি হরিণের মাংস আর ২৬০ কেজি মাছও ছিল মেন্যুতে। আর ৩ হাজার ২৪০টি ডিম তো ছিলই!

এ তো গেল আমিষের হিসাব। শর্করা হিসেবে ৫২ কেজি পাস্তা ও ৬৫ কেজি চালও গেছে হুয়ানফ্রান ও গডিনদের পেটে। ১ হাজার ২৬০টি রুটিও (ব্রেড বা পাউরুটি) ছিল। আর সেই রুটির সঙ্গী হিসেবে ৫৭৬ বোতল মার্জারিন, ৫৬৮ বোতল মার্মালেড ও ৫০০ বোতল মধু!

গত দুই সপ্তাহ সেগোভিয়া সিয়েরা দে গুয়াদারামা হোটেলের শেফদের বেশ ব্যস্ত সময় কেটেছে! প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে যে স্পেনের এ হোটেলেই আবাস গড়েছেন ডিয়েগো সিমিওনের দল!
সূত্র: মার্কা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত