স্পোর্টস ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০১৭ ১৩:৩৪

হাঙরের কাছে ২ সেকেন্ডের ব্যবধানে হারলেন ফেলপস

মানবকুলে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছে সবাই। সাঁতারে মাইকেল ফেল্‌প্‌সের জুড়ি কোথায়! গত বছর অবসর নেওয়া মার্কিন কিংবদন্তি হাঙরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবেন বলে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। সেই লড়াইয়ে অবশ্য হেরে গেছেন অলিম্পিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পদকজয়ী ফেল্‌প্‌স।

মানুষ বনাম প্রাণীর সেই ‘মুখোমুখি’ লড়াইয়ে ২ সেকেন্ডের ব্যবধানে হাঙরের কাছে হেরেছেন ফেল্‌প্‌স। ডিসকভারি চ্যানেল শার্ক সপ্তাহ উদযাপনের অংশ হিসেবেই আয়োজন করে ‘গ্রেট গোল্ড ভার্সাস গ্রেট হোয়াইট’ ১০০ মিটার দ্বৈরথ। যাতে জিতল বিশাল চোয়ালের হিংস্র শ্বেতহাঙর। খোলা সমুদ্রে ১০০ মিটার পেরোতে হাঙরের সময় লেগেছে ৩৬.১ সেকেন্ড। মর্ত্যের সেরা সাঁতারু ফেল্‌প্‌স সময় নিয়েছেন ৩৮.১ সেকেন্ড। পরশু ডিসকভারি চ্যানেলে প্রচারিত হয় মানুষ-হাঙরের এ দ্বৈরথ।

যাঁরা ভেবেছিলেন সাঁতারপুলে কিংবা খোলা জলাশয়ে হাঙর আর ফেল্‌প্‌স পাশাপাশি সাঁতরাবেন, তাঁরা আশাহত হয়েছেন। সরাসরি যে হাঙরের সঙ্গে সাঁতরাননি ফেল্‌প্‌স। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়েছে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আর ভিডিওতে ফেল্‌প্‌সের সঙ্গে যে হাঙরকে সাঁতরাতে দেখা গেছে, সেটিও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা আসল হাঙর ছিল না। ছিল আসল হাঙরের কম্পিউটারে তৈরি প্রতিচিত্র। তবে আলাদাভাবে সাঁতরালেও দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলবর্তী সমুদ্রের হাঙরপ্রবণ এই এলাকায় ফেল্‌প্‌সের নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়। শিকারি হাঙরের দিকে চোখ রাখতে অসংখ্য ডাইভার ছিলেন আশপাশে।

ডিসকভারি চ্যানেলের কাজটা তেমন জটিল ছিল না।  প্রথমেই আটলান্টিক মহাসাগরের ১০০ মিটারের মতো জায়গা বেছে নেওয়া হয়। এখানে খাবারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসা হয় শ্বেতহাঙরকে। শিকারের পেছনে ছুটে ওই ১০০ মিটার জায়গা পেরোতে হাঙরটি কত সময় লেগেছে হিসাব করে বের করা হয় সেটি। পরে কম্পিউটার সিম্যুলেশনে ব্যবহার করা এই অংশটুকু। সিম্যুলেশনের সাঁতারে ফেল্‌প্‌স হেরে যান ২ সেকেন্ডের ব্যবধানে।

ফেল্‌প্‌স পারেননি। পারবেনই বা কীভাবে, ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ফেল্‌প্‌সের সেরা টাইমিং ৪৭.৫১ সেকেন্ড, অন্যদিকে গ্রেট হোয়াইট শার্কের ১০০ মিটার পেরোতে লাগল ৩৬.১ সেকেন্ড। খোলা সমুদ্রে ফেল্‌প্‌স যে ৩৮.১ সেকেন্ড সময় নিলেন, তার পেছনেও আছে প্রযুক্তির অবদান। এক মিলিমিটার পুরু বিশেষ পোশাক ছিল মার্কিন সাঁতারুর পরনে, এ ছাড়া হাঙরের মতো বিশেষ লেজ লাগিয়ে নিয়েছেন ফেল্‌প্‌স। আর এই দুইয়ে মিলিয়েই গতিটা বেড়েছে মর্ত্যের জলদানবের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাঙরের বিপক্ষে তাঁর কোনো সুযোগই নেই। কিন্তু ফেল্‌প্‌স সেটা মানছেন না। সাঁতারের পর টুইট করে জানিয়েছেন, পরেরবার আরেকটু উষ্ণ পানিতে হবে দ্বৈরথটা, তখন দেখা যাবে।
সূত্র: নিউজ অস্ট্রেলিয়া, নিউইয়র্ক টাইমস, ভক্সডটকম

আপনার মন্তব্য

আলোচিত