ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৬ নভেম্বর, ২০১৭ ০১:০০

দাপুটে জয়ে ঢাকার প্রত্যাবর্তন

টি-টোয়েন্টিতে দুইশোর্ধ্ব রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারকুটে মানসিকতার সঙ্গে থাকতে হয় উইকেটে টিকে থাকার দৃঢ়সংকল্পও। কিন্তু খুলনা টাইটানসকে ইনিংসের শুরুতে এমন কোনো কিছু করার সুযোগই দেয়নি ঢাকা ডায়নামাইটস। অষ্টম উইকেটে জোফ্রে আর্চার ও মোশাররফ হোসেন ৪০ রান যোগ না করলে খুলনাকে কী লজ্জাই না পেতে হতো!

জয়ের জন্য ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি খুলনা। দুই ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি টিকেছে মাত্র ১.৫ ওভার পর্যন্ত। এরপর ৮০ রান তুলতে নেই আরও ৬ উইকেট! দলীয় ইনিংসের ​এই মড়ক থেকে বেরিয়ে কিছুটা লড়েছেন ক্যারিবিয়ান জোফ্রা আর্চার। মোশাররফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা ভদ্রস্থ করেছেন খুলনার ইনিংস। ২৪ বলে ৩৪ রান করা আর্চারই খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার।

শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ১৩৭ রানে থেমেছে মাহমুদউল্লাহর দল। ৬৫ রানের এই জয়টা ঢাকার জন্য বেশ স্বস্তিকর। প্রথম ম্যাচে হারের পর শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই বড় ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে দিন বদলের ইঙ্গিত দিলেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

শান্ত আউট হলেও ওপেনিংয়ে এক প্রান্তে ১৩ বলে ৩০ রানের খুদে ‘ক্যামিও’ ইনিংস খেলেছেন ওয়ালটন। নিজের পরপর দুই ওভারে ওয়ালটন ও কার্লোস ব্রাফেটকে তুলে নিয়ে খুলনাকে শুরুতেই ​বড় ধাক্কা দেন সাকিব। ওয়ালটনকে সাঙ্গাকারার গ্লাভস বন্দী করার পর ব্রাফেটকে (০) ফেলেছেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। খুলনার স্কোর তখন ৪.৩ ওভারে ৪৩/৩। এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো যেত। কিন্তু ১১তম ওভারের মধ্যে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে মাহমুদউল্লাহর দল। খুলনার স্কোর তখন ৮৮/৮। তবে বিপিএলে রান বিচারে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে হারের​ খেরোখাতায় ওপরের দিকে খুলনাকে নাম লেখাতে দেয়নি আর্চার-মোশাররফের জুটি। মিডল অর্ডারে রাইলি রুশো ২৩ রান করলেও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (৪) কিংবা আরিফুল হক (৫), ধনঞ্জয়া (৭) দলের প্রয়োজনে লড়াই করতে পারেননি। শেষ দিকে ১৭ রান করে খুলনার ইনিংসকে কিছুটা ভদ্রস্থ করেন মোশাররফ হোসেন। ঢাকার হয়ে ৩ উইকেট নেন আবু হায়দার। ২টি করে উইকেট সাকিব, সুনিল নারাইন ও খালিদ আহমেদের।

এর আগে এভিন লুইস এবং ক্যামেরন ডেলপোর্টের ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে দুইশোর্ধ্ব স্কোর পায় ঢাকা। ৪০ বলে ৬৬ রান করেন লুইস। ডেলপোর্টের সংগ্রহ ৩১ বলে ৬৪। দুই ম্যাচে এক জয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এল ঢাকা। টানা দুই ম্যাচ জিতে শীর্ষে সিলেট সিক্সার্স।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত