আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ জুন, ২০১৫ ১৫:৪৭

১০ মিলিয়ন ডলার ঘুষের প্রমাণ মিলল ফিফায়

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের দাবি, ২০ বছরে অন্তত ১৫০ লাখ ডলার ঘুষ দেওয়া-নেওয়া হয়েছে ফিফার মাঝে। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এখন এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে। এমন সময় বিবিসি তাদের অনুসন্ধানে প্রকাশ করল আরেক সত্য। ওটাও ঘুষের ঘটনা।

জানা গেছে, ফিফা থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার এর সাবেক সভাপতি জ্যাক ওয়ার্নারের চালিত অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে এই অর্থ পাঠানো হয়। ক্যারিবিয়ান ফুটবলের উন্নতির জন্যই তা পাঠানো হয়। কিন্তু প্রমাণ বলছে, পুরো টাকাটা ভিন্ন খাতে ব্যয় করেছেন ওয়ার্নার। এই টাকা ক্যাশ তুলেছেন, ব্যক্তিগত লোন হিসেবে নিয়েছেন, লন্ডারিং করেছেন ওয়ার্নার।

যার ব্যাপারে এই প্রমাণ মিলেছে সেই ওয়ার্নার কয়েক দিন আগে বলেছেন, ফিফার মধ্যে অসঙ্গতির ব্যাপারে তার যা জানা আছে তা প্রকাশ করবেন। তবে নিজে কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিলেন না বলেই দাবি ৭২ বছরের ওয়ার্নারের। মার্কিন আইন প্রয়োগ সংস্থা এফবিআই এর তালিকায় অবশ্য আছে তার নাম। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তখন কনকাকাফ তথা নর্থ ও সেন্ট্রাল আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান ফুটবলের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন এই সংগঠক।

যে ১০ মিলিয়ন ডলারের কথা বিবিসি বলছে তা তিন ভাগে ভাগ করে কনকাকাফের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। সময়কাল ২০০৮। ওই অ্যাকাউন্ট তখন ওয়ার্নার পরিচালনা করতেন। এই টাকাটা দক্ষিণ আফ্রিকা ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুত ছিল। ক্যারিবিয়ান ফুটবলের জন্য তা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রমাণ বলছে, সেই খাতে টাকা ব্যয় হয়নি।

ত্রিনিদাদের সবচেয়ে বড় চেইন জেটিএ সুপারমার্কেটকে ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া হয়। ২০০৮র জানুয়ারি থেকে ২০০৯ এর মার্চ পর্যন্ত ধাপে ধাপে টাকাটা দেওয়া হয়। ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার তুলেছে ওয়ার্নারের লোকরা। ব্যক্তিগত লোন হিসেবে নিজের জন্য ৪ লাখ ১০ হাজার ডলার তুলেছেন ওয়ার্নার। সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত লোন ও ক্রেডিট কার্ডের জন্য ওয়ার্নার নিয়েছেন ১৬ লাখ ডলার।

এভাবেই সেই টাকাটা খরচ হয়েছে যে ১০ মিলিয়ন ডলারকে ঘুষ বলা হচ্ছে। ২০১০ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকায় নেওয়ার জন্যই আফ্রিকান কর্তৃপক্ষ এই টাকাটা ফিফাকে দিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা এই টাকাকে বলেছে উপহার।   


আপনার মন্তব্য

আলোচিত