পুরো আসরের ন্যায় বাংলাদেশের শেষটাও হলো ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ৫ম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৮ উইকেটে হেরে যুব বিশ্বকাপে ষষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশ। কুইন্সটাউনে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৭৮ রানে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যুব টাইগাররা। ওপেনার নাঈম শেখ প্রথম ওভারে বিদায় নেন। দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। সপ্তম ওভারে পাঁচ বলের মধ্যে আউট হয়ে যান আমিনুল ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয়। এরপর ৩৩ রানে মোহাম্মদ রাকিবের বিদায়ে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চারটিই নেন টুর্নামেন্টে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা ফাস্ট বোলার ফ্রাসার জোন্স।

খাদের কিনারা থেকে দলকে পুরো টুর্নামেন্টের মতো আবারও দলকে উদ্ধার করেন আফিফ। ষষ্ঠ উইকেটে শাকিল হোসেনকে নিয়ে দুজন গড়েন ৯৬ রানের জুটি। আক্রমণাত্মক খেলে আফিফ ৫৯ বলে ৬৩ রান করেন। যুব বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচে আফিফের এটি চতুর্থ ফিফটি। উইকেটকইপার ব্যাটসম্যান শাকিল করেন ৬১ রান। এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হলে টিপু সুলতান করেন ১৮ রান। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ ৪১.৪ ওভারেই ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায়। ৩৩ রানে ৫ উইকেট নেন জোন্স, এমনায়াকা নেন ৩টি।

রান তাড়ায় খুব একটা ঘাম ঝরাতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শুরুটাকে কাজে লাগাতে না পারলেও তৃতীয় জুটিই দলকে এনে দেয় জয়। ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রেনার্ড ফন টোন্ডার ও হারমান রোলফেস। ৩৮.৩ ওভারের ৬৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় প্রোটিয়ারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪১.৪ ওভারে ১৭৮ (সাইফ ১, নাঈম ২, আমিনুল ৭, হৃদয় ১, আফিফ ৬৩, রাকিব ২, শাকিল ৬১, অনিক ১৩, হাসান ০, টিপু ১৮*, রনি ০; জোন্স ৫/৩৩, এমনায়াকা ৩/২৭, রোলফেস ০/২৭, মোলেফে ০/২৫, স্মিথ ০/৩৮, ডি ক্লার্ক ১/২৭)

দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৮.৩ ওভারে ১৮০/২ (ব্রিটজকে ৩৬, পিল্লাই ১২, ফন টোন্ডার ৮২*, রোলফোস ৪৪*; হাসান ০/২৮, রনি ১/২১, অনিক ১/৩১, টিপু ০/৩৯, আফিফ ০/২৮, রাকিব ০/১৬, সাইফ ০/১৭)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফ্রাসার জোন্স।